ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও কোটালের জোড়া ফলায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে গ্রামে। তাতে ভেসে গিয়েছে মাছ চাষের বহু পুকুর। লোনা জল ঢুকে মারা গিয়েছে পুকুরের মিষ্টি জলের সমস্ত মাছ। সেই মাছ শুঁটকি করে ভেজে বাজারে বিক্রি করা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যের মৎস্য সচিবকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যার কথা বলেন রাজ্যের মৎস্যদফতরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্র। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের যে এক্সপার্টরা রয়েছেন তাদের একটু মতামত নিও তো। অনেক বড় বড় মাছও তো মারা গিয়েছে। সেগুলোকে তুলে একটা জায়গায় এনে ওই মাছগুলোকে কেটে কেটে শুকিয়ে ভেজে এটা আমরা বাজারে বিক্রি করতে পারি কি না? তাহলে কিন্তু মাছটা ভাল থাকবে।’ নিজের অভিজ্ঞতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেমন কী করি, এটা সাধারণ বুদ্ধি। আমরা মাছে নুন হলুদ মাখিয়ে রেখে দিই। তাহলে কিন্তু মাছটা ভাল থাকে। ওই যে মাছটা মরে গেছে, অনেক মাছ। এই মাছটা নষ্ট না করে, বাংলার লোকেরা তো মাছ খেতে ভালবাসে। যদি শারীরিক ভাবে কোনও ক্ষতি না হয়, তাহলে সেই মাছগুলো তুলে, নুন হলুদ মাখিয়ে, সেগুলোকে পুরো রোদ্দুরে শুকিয়ে বা ডাই করার ব্যবস্থা করে, সেটাকে যদি আমরা ফ্রাই করেও বিক্রি করতে পারি তাহলে কিন্তু লোকে নেবে। সেটা বাড়িতে ঝোল টোল করে খেতে পারে।’বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাছ ধরার সঙ্গে সঙ্গে তা বরফ বা নুন দিয়ে সংরক্ষণ করতে হয়। পুকুরের মৃত মাছ কখনো খাওয়া উচিত নয়। কারণ মাছের মৃত্যুর পর তার দেহে পচন ধরলে তবেই মাছ ভেসে ওঠে। সেই পচা মাছ খাওয়া মানুষের পক্ষে ক্ষতিকর হতে পারে।