আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নিরাপত্তার দাবি উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নাগরিক সমাজ রোজ রাজপথে মিছিল, ধরনা করছেন। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা ঘটার একমাস পেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তভার গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। তবে তদন্তে নতুন কিছু উঠে এসেছে কিনা সেটা সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দেওয়া রিপোর্ট থেকেই স্পষ্ট হবে। এই আবহে আজ, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার রাজ্যসভার পদ এবং দল থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর তারপরই জহর সরকারকে তুলোধনা করলেন লোকসভার সাংসদ সৌগত রায়।
আজ জহর সরকার ইস্তফা দেওয়ার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারপর থেকেই রাজ্য–রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠেছে। কারণ বিরোধীরা উৎসাহিত হয়ে এই ঘটনায় নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। অধীর চৌধুরী থেকে সুজন চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করেছেন। এই আবহে সাংসদ জহর সরকারকে ‘ব্যক্তিকেন্দ্রীক’ বলে কটাক্ষ করলেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। তাঁকে টিকিট দেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও মুখ খুলেছেন। সৌগত রায় বলেন, ‘এই ধরনের মানুষদের মনোনয়ন দেওয়াই ঠিক নয়।’ রাজ্যসভার সাংসদ করা হয়েছিল জহর সরকারকে। তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনয়নে তা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন বোলপুরে, প্রত্যেক জেলায় গড়বে রাজ্য সরকার
তৃণমূল কংগ্রেসে থেকে দলবিরোধী মন্তব্য আগে করেছিলেন জহর সরকার। তখন তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল। পরে সন্দেশখালি ইস্যু ঘুরে যাওয়ায় চুপচাপ হয়ে যান জহর সরকার। এবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে সাংসদ পদে এবং রাজনীতিতে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন জহর সরকার। তা নিয়ে সৌগত রায়ের বক্তব্য, ‘দলের প্রতি কোনও কমিটমেন্ট নেই। পাবলিকের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ভাল কাজ করবেন ভেবে অন্য ক্ষেত্রের অনেককেই নিয়ে আসেন আমাদের নেত্রী। কিন্তু এঁদের কেউ কেউ ব্যক্তিকেন্দ্রীক। শুধু নিজের কথাটা ভাবেন। কোনও বিরুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেই পালাতে চান।’