বৃহস্🌺পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে তুমুল লাঠিপেটা খেয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। তবে তারপরেও আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসেননি তাঁরা। এবার সেই চাকরিহারাদের মাঝে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তবে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাকরিহারাদের মাঝে গেলেও শুভেন্দু অধিকারী কোনও পতাকা নিয়ে যাননি। তিনি মঞ্চেও ওঠেননি। মঞ্চের পাশে একটি জায়গায় বসেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচিও ছিলেন༒।
এদিকে𓂃 চাকরিহারা শিক্ষকরা আগেই 🌄বলেছিলেন তাঁদের অবস্থান স্থলে কেউ আসতেই পারেন। কিন্তু তাঁদের পতাকা নিয়ে এলে হবে না।
তবে শুভেন্দু অধিকারী আগেই বলেছিলেন, তাদের যে আন্দোলন, অবস্থানে অংশ নেওয়া বা বক্তব্যএই যে তৃণমূলের গুণ্ডারা এসেছেন তাদের সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই সুযোগটা নেই কারণ তারা প্রথম থেকে বলছে এটা অরাজনৈতিক আন্দোলন। ভারতীয় জনতা পার্টি এই আন্দোলনে আছে। যোগ্যদের পক্ষে আমরা। অভিজিৎ গাঙ্গুলি সেই রায় যদি✃ অহঙ্কারি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মেনে নিতেন তবে আজ শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হত না। অভিজিৎ গাঙ্গু♏লি সাত হাজারজনকে চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। রাজ্য সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই টাকায় হাসপাতাল স্কুল করা যেত। দায়ী তো একজনই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২৬শে একজনকে বাতিল করুন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।
শুভেন্দু বলেন, বাংলার অন্যতম বিজেপি নেতা হিসাবে কথা দিচ্ছি, আমরা বিজেপিকে সরকারে আনলে যোগ্য-অযোগ্য একমাসের মধ্য়ে বেছে ওএমআর পুড়িয়েছেন, সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে হার্ড ডিস্ক উদ্ধার করে বলে দিয়েছেন কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, পেপার্স তো আপনার কাছে আছেন, এমএলএ ভাই, এমপির আত্মীয় এদের বাঁচানোর জন্য় এই নাটক করেছেন। শিক্ষিকারা তাড়া করেছেন গুণ্ডাদের। লাল চুল কানে দুলদের তাড়া করেছেন শিক্ষিকারা। সব্যসাচী দত্তের কোনও কাজ ছিল না। ওকে মমতা পাঠিয়েছে। ওকে(সব্যসাচী দত্তকে) গুণ্ডামি করে নম্বর বাড়াতে হবে।
তবে ইতিমধ্য়েই চাকরিহারারা সবাইকে রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।চাকরিহারা শিক্ষক জানিয়েছেন, 'যৌথ সিদ্ধান্তে আমরা সর্বস্তরের মানুষ, সব দলকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের আর্জি, আღপনারা পাশে এসে দাঁড়ান। আমাদের চাকরি ফেরানোর ব্যবস্থা করুন। আমরা কাউকে গো-ব্যাক দেব না। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল য✤াঁরাই আসবেন, তাঁরা নিজেদের আদর্শ, দলীয় পতাকা ছাড়া আসুন।' এমনকী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আহ্বান জানিয়েছিলেন তাঁরা। এরপরই শুভেন্দু যান চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনস্থলে।
আন্দোলনস্থল থে♎🃏কে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমাদের রাজ্য সভাপতিও বলে দিয়েছেন যোগাযোগ করে যদি ওরা তবে সবাই আসব।বিজেপির সংকীর্ণতা নেই। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার আমরা করব না।