আজ রাজভবনে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ‘হাতেখড়ি’। সেখানে থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও অনেকে থাকবেন। কিন্তু বড়লাটের এই অনুষ্ঠানে অস্বস্তি এড়াতে থাকছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শপথ অনুষ্ঠানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। সে বিষয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরুদ্ধেই। তবে এবার অবশ্য তিনি বড়লাটের (রাজ্যপাল) প্রধান সচিব এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছেন।
কেন চাপে পড়েছে বিজেপি? বাংলার এই নয়া রাজ্যপালে খুশি নন বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করা নিয়ে নয়াদিল্লিতে নালিশ ঠুকেছেন। স্বপন দাশগুপ্ত বলেছেন, লোক দেখানো হাতেখড়ি অবান্তর ব্যাপার। আবার দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজভবন নির্ভর রাজনীতি তিনি সমর্থন করেন না। কার কাকে কেন ভাল লাগছে সেটা দিল্লি দেখবে। আজ বলেন, ‘ভুল মাস্টারের হাতে হাতেখড়ি নিলে ভুল শিখবেন’। এই সব মন্তব্য করে এখন নিজেরাই বিপাকে পড়েছেন। কোন মুখে রাজভবনের বাসিন্দার সামনে মুখ দেখাবেন সেটাই ভেবে উঠতে পাচ্ছেন না।
আর শুভেন্দুর অভিযোগ ঠিক কী? আজ, বৃহস্পতিবার বিরোধী দলনেতা এই হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে আসছেন না বলে টুইট করেছেন। সেখানে তিনি না আসার কারণ হিসাবে লিখেছেন, ‘রাজ্যপালের ভালমানুষিকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নের দূত হিসাবে কাজ করছেন রাজ্যপাল প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নন্দিনী চক্রবর্তী। যখন টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা উঠে আসছে, তখন রাজ্যপালের হাতেখড়ির অনুষ্ঠান দেখিয়ে ওই সব ইস্যু চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা আসলে ঝাঁ চকচকে বইয়ের কভারের তলা অশ্লীল পাঠ্যপুস্তক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কুইন–পিন।’