মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় সদ্য একটি রদবদল হয়েছে। সেখানে দেখা গেল, মানস ভুঁইয়ার হাত থেকে সরিয়ে নেওয়া হল রাজ্যের পরিবেশ দফতর। তিনি এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। এখন অবশ্য তিনি শুধু জলসম্পদ দফতরের মন্ত্রী। কিন্তু বিষয়টি হল কেন মানসের উপর কোপ পড়ল? রাজ্য–রাজনীতির অলিন্দে এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এখন রাজ্যে পঞ্ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚচায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ফলে সেদিকেই এখন নজর সকলের। তবে তার মধ্যেও এই দফতর হাতছাড়ার বিষয়টি উঁকি দিচ্ছে। তাই চর্চাও হচ্ছে।
যেদিন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ছিল সেদিন একটি ঘটনা ঘটেছিল�💖�। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের দ্বারা আয়োজিত পরিবেশ দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি ছিল না। যা মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্ষোভ শোনা গিয়েছিল মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার মধ্যে। কারণ সেখানে লাগানো এলইডি স্ক্রিন থেকে ব্যানার কোথাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী ছবি নেই কেন? বলে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন। তখন ৫ জুন নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে পিন পড়ার নীরবতা দেখা দিয়েছিল।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই পরিস্থিতির ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মানস ভুঁইয়া মঞ্চে দাঁড়িয়েই পরিবেশ দফতরের প্রধান সচিব রোশনী সেনের কাছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার জন্য রি😼পোর্ট তলব করেছিলেন। কিন্তু পরিবেশ দফতরের মন্ত্রীর অজান্তে এমন ঘটনা কী করে ঘটল? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে নবান্নে। ঠিক তার ১০ দিন পরে হঠাৎ পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মন্ত্রী ম📖ানস ভুঁইয়াকে। অর্থাৎ প্রধান সচিব যেমন দ♕ায়ী তেমন এই ঘটনার দায় মন্ত্রীও এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই এমন কোপ পড়ল বলে নবান্ন সূত্রে খবর। আর মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশ দফতর নিজের হাতে রাখলেন। ‘ছবি–কাণ্ড’ নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? তবে শুধু ছবি–কাণ্ড দফতর থেকে সরিয়ে দেওয়ার একমাত্র কারণ নয়। সূত্রের খবর, বেআইনি বাজি কারখানা এবং তার জেরে বিস্ফোরণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিরোধীরা নানা প্রশ্ন তুলে সরকারকে বিব্রত ক💜রেছে। এগুলি পরিবেশ দফতরেরই দেখার কথা। সেখানে একটি শব্দও খরচ করতে দেখা যায়নি দফতরের মন্ত্রীকে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে মাঠ🎃ে নেমে মোকাবিলা করতে হয়। এই কারণেও মানস ভুঁইয়াকে সরে যেতে হল বলে মনে করা হচ্ছে।