বছর ঘুরলেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় যাতে পড়ুয়াদের সমস্যা না হয় তার জন্য পদক্ষেপ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার নিয়ে আসা হচ্ছে নয়া পাঠ্যবই। মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিতর্কিত ও সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন রুখতে তৈরি করা হবে নয়া পাঠ্যবই। সেই পাঠ্যবই পড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা উক্ত সমস্যার মোকাবিলা করতে পারবে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ২০২৪ সালেই নবম–দশমের পড়ুয়ারা সেই নতুন বইগুলি হাতে পাবে। এমন পাঁচটি বই দেওয়া হবে। আর ২০২৫ সালে তা পড়ে পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। তবে স�🌞�িলেবাসে কোনও পরিবর্তন হবে না।
কেন এমন বই আনা হচ্ছে? অনেক সময় দেখা যায়, মাধ্যমিক প𓆏রীক্ষায় সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন আসে। আবার বিতর্কিত প্রশ্নও এসে থাকে। ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাক–অধিকৃত কাশ্মীরের পরিবর্তে ‘আজাদ কাশ্মীর’ লেখা ম্যাপ পয়েন্টিং এসেছিল। তখন তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকী বিজ্ঞান এবং গণিতেও সিলেবাসের বাইরে থেকে প্রশ্ন আসার অভিযোগ উঠেছে। পরে খতিয়ে দেখে বোঝা যায়, কোনও বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থার ছাপা বইতে উত্তরের উল্লেখ রয়েছে। এসব থেকে 🅘শিক্ষা নিয়ে পাঁচটি বিষয়ে বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থার বইয়ের উপর রিভিউ চলছে। সেখানে যাবতীয় বিতর্কিত এবং সিলেবাস বহির্ভূত বিষয় বাদ দেওয়া হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই যে পাঁচটি বই সেগুলি নবম–দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের দেওয়া হবে। এগুলি বেসরকারি প্রকাশনা সংস্থার বই। পরীক্ষার্থীদের যাতে কাজে লাগে তাই এমন উদ্যোগ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয়, রেজাল্ট যাতে ভাল হয় তার জন্য এই বই খুব উপযোগী। এই বইগুলি হল— বাংলা ব্যাকরণ, ভূগোল, ইতিহাস, জীবনবিজ্ঞান এবং ভৌতবিজ্ঞান।ꦿ꧟ ২০১৭ সালের পর থেকে আর এই বইগুলির রিভিউ হয়নি। ফলে সেগুলি পুরনো হয়ে পড়েছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, ২৪৪টি বই রিভিউয়ের জন্য এসেছে। ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা তাদের বই পাঠিয়েছে। সেগুলি রিভিউ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: আজ রাত থেকেই বাংলায় আসছে পদ꧃্মার ইলিশ, লক্ষ্মীবারেই শুরু দেদার বিক্রি
ঠিক ক🃏ী বলছেন পর্ষদ সভাপতি? এই ঘটনাটি এখন পড়ুয়ারাও জানতে পেরেছে। তাদের কৌতূহলও বেড়েছে বইগুলি নিয়ে। আর বিষয়টি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রকাশনা সংস্থাগুলিকে বই রিভিউ করিয়ে নতুন টিবি নম্বর নেওয়ার কথা আগেই বলা হয়েছিল। সেই কথা মতো বই জমা পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের বলা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশ মতো সিলেবাস অনুযায়ী বইগুলিকে সাজিয়ে তুলতে হবে। সিলেবাস বহির্ভূত বিষয় পাঠ্যবই থেকে বাদ যাবে। আর সিলেবাসে থ🌄াকা কোনও বিষয় বইয়ে না থাকলে তা যুক্ত করতে হবে।’