তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত পাঁচ উইকেট, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দারুণ প্রত্যাবর্তন করল বাংলাদেশ। প্রথম দিন চা-বিরতির সময় জিম্বাবোয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৬১ রান, সেখান থেকে তারা দিনের শেষে দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২৭ রানে।
তাইজুলের ৫ উইকেট, BAN vs ZIM 2nd Test-এর প্রথম দিনে বাংলাদেশের প্রত্যাবর্তন (ছবি- AFP)
তাইজুলের দুর্দান্ত পাঁচ উইকেট, দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে দারুণ প্রত্যাবর্তন করল বাংলাদেশ। সিলেট টেস্টের হতাশার পর চট্টগ্রামে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করল বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের টেস্ট কেরিয়ারের ১৬তম পাঁচ উইকেটের দৌলতে জিম্বাবোয়ের ইনিংস ভেঙে পড়ে। প্রথম দিন চা-বিরতির সময় জিম্বাবোয়ের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ১৬১ রান, সেখান থেকে তারা দিনের শেষে দাঁড়ায় ৯ উইকেটে ২২৭ রানে। শুরু থেকেই স্পিন সহায়ক উইকেটে তাইজুল ৫ উইকেট নেন মাত্র ৬০ রানে। তাঁকে সমর্থন দেন নঈম হাসান (২ উইকেট ৪২ রানে)।
প্রথম দুই সেশনে জিম্বাবোয়ের দাপট ছিল স্পষ্ট। চট্টগ্রামের এমন উইকেটে যেখানে প্রথম ইনিংসে সাধারণত ৫০০-র বেশি রান ওঠে, সেখানে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়াটা ছিল তাদের জন্য বড় সুবিধা। ব্রায়ান বেনেট, যিনি প্রথম টেস্টে দুটি অর্ধশতরান করেছিলেন, আত্মবিশ্বাসী শুরু করেন। তিনি পাঁচটি চারের মার মারার পর তানজিম হাসান শাকিবের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। বেন কারেন যদিও শুরুতে শাদমান ইসলামের হাতে একটি সহজ ক্যাচ পড়ে বেঁচে যান এবং মেহেদি হাসান মিরাজকে লং-অন দিয়ে ছক্কাও মারেন, তবে তিনিও তাইজুলের প্রথম ওভারেই বোল্ড হন।
উইকেটে আসার পর থেকেই তাইজুল প্রভাব ফেলতে শুরু করেন। তার দ্বিতীয় বলেই কারেন অফসাইডে মারার চেষ্টায় স্টাম্পে বল লাগিয়ে ফিরে যান। জিম্বাবোয়ের ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে নিক ওয়েলচ, দ্রুত রান তুলতে চেয়েছিলেন যাতে পিচের অবনতি হওয়ার আগে স্কোর বড় করা যায়।
ওয়েলচ এবং শন উইলিয়ামসের মধ্যে ৯০ রানের দারুণ এক পার্টনারশিপ হয়। উইলিয়ামস দারুণ কিছু স্কোয়ার কাট এবং কভার ড্রাইভের মাধ্যমে রান তুলতে থাকেন। তবে বাংলাদেশ একটা বড় সুযোগ নষ্ট করে যখন ৩৩তম ওভারে একই বলে দুইবার রান আউট মিস করে।
চা-বিরতির পর ওয়েলচ হাতে ক্র্যাম্পের কারণে মাঠ ছাড়েন। এরপর দ্রুতই নঈম হাসান ক্যাপ্টেন ক্রেগ আর্ভিনকে আউট করেন এবং তানজিমের চমৎকার ক্যাচে শেষ হয় উইলিয়ামসের (৬৭) ইনিংস।
শেষ সেশনে প্রথম ১৯ ওভারে জিম্বাবোয়ে মাত্র ২৪ রান তুলতে পারে। বাংলাদেশ স্পিনাররা ক্রমাগত চাপ বাড়িয়ে চলেন। তাইজুল আবার ফিরে এসে মাধেভেরে, মাসাকাদজা এবং এনগারাভাকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন। দ্বিতীয় নতুন বল হাতে নিয়ে তিনি টানা দুই বলে দুই ব্যাটসম্যান আউট করেন।
দিনের শেষে আরও এক ওভারে দুটি উইকেট পড়ে যায়। ভিনসেন্ট মেসেকেসা রান আউট হলে ক্র্যাম্পে ভোগা ওয়েলচকে আবার নামতে হয়, কিন্তু তিনি তাইজুলের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন। তাইজুলের এটি ছিল দেশের মাটিতে আরও একটি পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব।