Virat Kohli holding a Jaap counting machine: টেস্꧃ট ক্রিকেট🅘 থেকে অবসর ঘোষণার একদিন পর, ভারতীয় ব্যাটিং কিংবদন্তি বিরাট কোহলি তাঁর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে বৃন্দাবনে যান। যেখানে তাঁরা আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজের দর্শন করেন। এই দম্পতি শ্রীরাধা কেলি কুঞ্জ আশ্রমে গিয়ে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
বিরাট ও অনুষ্কার প্রেমানন্দ মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি ও ভিডিয়ো দ্রুতই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ🌳্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রেমানন্দ মহারাজের শ্রীরাধা কেলি কুঞ্জ আশ্রম থেকে বের হওয়ার পরে কোহলির হাতে একটি জপ গণনার যন্ত্র (জপ কাউন্টিং মেশিন) নিয়ে দেখা যায়। কোহলি যখন গাড়ি থেকে নামেন তখন তাঁর হাতে এই মালা ছিল। তিনি ভক্তদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে সম্ভাষণ জানান এবং এরপর চুপচাপ এয়ারপোর্টের ভিতরে প্রবেশ করেন। সেই সময়ে ক্যামেরায় এই জপ গণনার যন্ত্রটি দেখা যায়।
এখন কোহলি আইপিএল ২০২৫-এ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে শনিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমবার, কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা করেন। যার মধ্য দিয়ে ভারতের হয়ে দীর্ঘতম ফরম্যাটে এক অ🐽সাধারণ কেরিয়ারের ইতি ঘটে। তিনি ভারতের হয়ে ১২৩টি টেস্ট খেলেছেন, যেখানে তাঁর সংগ্রহ ৯,২৩০ রান, গড় ৪৬.৮৫, এবং রয়েছে ৩০টি সেঞ্চুরি।
ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলি ভারতের হয়ে ৬৮টি টেস্টে নেতৃত্ব দেন এবং ৪০টি ম্যাচে টিম ইন্ডিয়াকে জয়ী করিয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত কোনও ভারতীয় অধিনায়কের সর্বোচ্চ টেস্ট ম্যাচ জয়। ভারতের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী কোহল🍌ির সিদ্ধান্তে বিস্মিত হলেও বলেছেন, ধারাবাহিক পাবলিক চাপের কারণে কোহলি ‘মানসিকভাবে ক্লান্ত ও পুড়ে গিয়েছিলেন।’ শাস্ত♔্রী বিশ্বাস করেন, কোহলির আরও দুই-তিন বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য ছিল।
আরও পড়ুন … রিকেলটন ও জ্যাকসের পরিবর্ত পেয়ে গেল MI! বেয়ারস্টো ও গ্লিসনের সঙ্গ♔ে ไচুক্তি প্রায় পাকা
শাস্ত্রী আরও জানান, তিনি কোহলির সঙ্গে ঘোষণার কিছুদিন আগেই কথা বলেছিলেন। রবি শাস্ত্রী The ICC Review-এ বলেন, ‘আমি ওর সঙ্গে অবসর নিয়ে কথা বলেছিলাম, সম্ভবত ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে। ওর মন পুরোপুরি স্থির ছিল, বলেছিল সব কিছু উজাড় করে দিয🗹়েছে, কোনও আফসোস নেই।’
আরও পড়ুন … ভিডিয়ো: চলে যাও… বিমানবন্দরে ভক্তের ব্যবহারে রেগে লাল DC-র অজি🐟 পেসার মিচেল স্🐲টার্ক
শাস্ত্রী বলেন, ‘বিরাট আমাকে চমকে দিয়েছে কারণ আমি ভেবেছিলাম ওর অন্তত আরও দুই-তিন বছর টেস্ট খেলার মতো শক্তি আছে। তবে যখন আপনি মানসিকভাবে ক্লান্ত ও পুড়ে যান, তখন শরীরকে💯 একটা বার্তা যায়। আপনি হয়তো দলে থাকা অর্ধেক খেলোয়াড়ের চেয়েও শারীরিকভাবে বেশি ফিট, কিনꦗ্তু যদি মানসিকভাবে শেষ হয়ে যান, তবে শরীরও আর সাড়া দেয় না।’
তাঁদের আলাপচারিতার কথা জানাতে গিয়ে শাস্ত্রী বলেন, কোহলির সংক্রামক ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর চারপাশে সবস꧑ময় থাকা প্রচারের আলো তাঁকে ক্লান্ত করে দিয়েছিল। শাস্ত্রী বলেন, ‘ওর ঝলমলে কৃতিত্ব বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে। গত দশকে ওর চেয়ে বড় ফলোয়িং আর কোনও ক্রিকেটারের ছিল না। অস্ট্রেলিয়া হোক বা দক্ষিণ আফ্রিকা, মানুষ শুধু ওকে দেখার জন্য খেলা দেখত।’
শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘এটা একটা ভালোবাসা-ঘৃণার সম্পর্ক ছিল। অনেকে রেগে যেত, কারণ ওর এমন ক্ষমতা ছিল যে দর্শকদের মনের ভিতর ঢুকে যেত। ওর সেলিব্রেশনের ভঙ্গি, ওর তীব্রতা—সব কিছু খুব দ্রুত﷽ ছড়িয়ে পড়ত, শুধু ড্রেসিংরুমে নয়, দর্শকদের ൲ঘরেও। সে একজন সংক্রামক চরিত্র ছিল।’