রোহিত শর্মা একেবারে সহজ ক্যাচ ফস্কে দেওয়ায় হ্যাটট্রিক করতে পারেননি। আর সেই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের শেষে মুখ খুললেন অক্ষর প্যাটেল। সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থায় অক্ষর বলেন, ‘ওই ওভারে অনেক ঘটনা ঘটেছিল। আমি জানতাম না যে (তানজিদ হোসেন) আউট ছিল। কিন্তু কেএল (রাহুল) আবেদন করেছিল। আর এটা আউট ছিল। তারপর দ্বিতীয় উইকেট পেলাম। তৃতীয়টার ক্ষেত্রে বলটা যখন ব্যাটের কাণায় লাগে, তখন আমি ভেবেছিলাম যে হ্যাটট্রিক হয়ে গিয়েছে। আমি সেলিব্রেশন করতে শুরু করে দিয়েছিলাম। তারপর দেখি যে (রোহিত ক্যাচটা ফেলে দিয়েছে)। আমি আর পিছনে ফিরে দেখিনি। আমি শুধু ফিরে যাই। সবাই এরকম ক্যাচ ফস্কায়। এটা খেলার অংশ।’
আর যে ওভার নিয়ে অক্ষর কথা বলেছেন, সেটা বাংলাদেশ ইনিংসের নবম ওভার ছিল। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে তানজিদ হাসানকে আউট করেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। তৃতীয় বলে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়ে দেন মুশফিকুর রহিমকে। চতুর্থ বলটায় উইকেট নিলেই হ্যাটট্রিক করে ফেলতেন অক্ষর। সেজন্য আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। নিজে ছিলেন স্লিপে।
সেই ফাঁদে পা দেন বাংলাদেশের ব্যাটার জাকের। বলটা এমনভাবে করেন অক্ষর যে জাকেরকে এগিয়ে আনেন। ব্যাটের বাইরের দিকে কাণায় বলটা লেগে প্রথম স্লিপের দিকে উড়ে যায়। একেবারে সহজ ক্যাচ ছিল। যে কোনও ফিল্ডার স্লিপে ওরকম উচ্চতায় বলটা চাইবেন। রোহিত নিজের বাঁ-দিকে সামান্য সরে গিয়ে ক্যাচটা ধরতে যান রোহিত। কিন্তু হাতে লেগে বলটা বেরিয়ে যায়। কুঁচকিতে লেগে মাটিতে পড়ে যায় বলটা।
রোহিত ক্যাচ ফস্কানোয় ইতিহাস তৈরি করতে পারেননি অক্ষর
তারপর রাগে মাঠ চাপড়াতে থাকেন রোহিত। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাঠ চাপড়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। আর আজ দুবাইয়ের মাঠে হতাশায় চাপড়াতে থাকেন। যে ক্যাচটা তিনি নিতে পারলে বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে আইসিসি আয়োজিত কোনও একদিনের টুর্নামেন্টে অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের নজির গড়তেন অক্ষর। দ্বিতীয় ভারতীয় পুরুষ স্পিনার হিসেবে একদিনের ম্যাচে হ্যাটট্রিকের নজির গড়তেন।
আরও পড়ুন: দেশের হয়ে যে ফের খেলতে পারব, তা নিয়ে আমারই সন্দেহ ছিল… চোট নিয়ে আতঙ্কের কাহিনি শোনালেন শামি
রোহিতের ভুলের বড় মাশুল গুনতে হয় ভারতকে
তবে অক্ষরকে নয়, রোহিতের ওই ক্যাচ ফস্কানোর মাশুল গুনতে হয় ভারতকেও। যে জাকেরের ক্যাচ ফস্কান রোহিত, তিনি ৬৮ রান করেন। আর তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ১৫৪ রান যুক্ত করেন। যে জুটির সুবাদে পাঁচ উইকেটে ৩৫ রান থেকে বাংলাদেশ ১৮৯ রানে পাঁচ উইকেটে পৌঁছায়। শেষপর্যন্ত ২২৮ রান করে।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পরে অক্ষরও জানান, রোহিত যদি ক্যাচটা নিতে পারতেন, তাহলে নাজমুল হোসেন শান্তরা আরও কম রানে গুটিয়ে যেতে পারতেন। তবে তারপরও বাংলাদেশে যে রানটা টার্গেট দিয়েছে, তা ভারত তাড়া করে নিতে পারবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন অক্ষর। যদিও অনেকের মতে, রোহিত ক্যাপ্টেন হওয়ায় সম্ভবত বেশি কিছু বলতে পারেননি ভারতীয় বোলার। অন্য কেউ হলে সম্ভবত কটমট করে তাকাতেন বাকিরা।