ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছে ভারত। আর এই জয়ের পিছনে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব অবশ্যই ভারতীয় বোলারদের। টসে হারার ফলে প্রথমে বল করতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। ৩০০ রানের কমে নাগপুরে বাটলারদের আটকে দেওয়ার জন্য অবশ্যই বাহবা জানাতে হবে বোলারদের।
বিশেষ করে হর্ষিত রানা এবং রবীন্দ্র জাদেজাকে। দু’জনেই প্রয়োজনের সময় উইকেট নিয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন জাদেজা এবং ৫৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন রানা। এক ওভারে হ্যারি ব্রুক এবং বেন ডাকেটকে আউট করে ম্যাচের রং বদলে দেন হর্ষিত।
দ্বিতীয়ত প্রশংসা করতে হবে ভারতীয় ফিল্ডারদের। বেন ডাকেটের ক্যাচ এবং ফিল সল্টের রান-আউট দুটোই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একটা সময় ইংল্যান্ডের এই দুই ওপেনার বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন। গড়ে তুলেছিলেন ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। ঠিক তখনই নিজের ফিটনেসের পরিচয় দেন শ্রেয়স এবং ভারতকে প্রথম উইকেটটি পেতে সাহায্য করেন। তাঁর দুরন্ত ফিল্ডিংয়ের সুবাদে আউট হয়ে যান ফিল সল্ট। এর ঠিক পরের ওভারেই আরও এক অসাধারণ ফিল্ডিংয়ের নিদর্শন রাখেন যশস্বী জসওয়াল। পিছন দিকে দৌড়ে দুরন্ত ক্যাচ ধরে বেন ডাকেটকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তিনি।
তৃতীয়ত ভারতীয় বোলারদের রান না দেওয়ার প্রবণতা। বেশি উইকেট না পেলেও রান দেননি অক্ষর-কুলদীপরা। এর ফলে চাপ তৈরি হচ্ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ওপর। আর সেটার সুযোগ তোলেন জাদেজা এবং হর্ষিত। উইকেট না পেলেও ভালো বল করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এক এন্ড থেকে চেপে ধরেছিলেন তিনি।
চতুর্থ, শুভমন গিলের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। যখন রান তাড়া করতে নেমে ভারত ১৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তখন ৩ নম্বরে ব্যাট হাতে অসাধারণ ব্যাটিং করেন শুভমন গিল। প্রথমে শ্রেয়স আইয়ার এবং পরে অক্ষর প্যাটেলের সঙ্গে মিলে গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। যখন দেখেন শ্রেয়স একদিক থেকে আক্রমণ করছেন, সেই সময় নিজের খেলার গতি কিছুটা ধীর করেছিলেন গিল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এক সঙ্গে দুই ব্যাটারের আক্রমণাত্মক হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
পঞ্চম, অবশ্যই কৃতিত্ব দিতে হবে কোচ গম্ভীরের চিন্তাধারাকে। ক্রিজে বাম ও ডানহাতি ব্যাটারের কম্বিনেশন বজায় রাখতে অক্ষরকে উপর দিকে তুলে আনেন তিনি। ক্রিজে একজন ডান এবং বাম হাতি ব্যাটার একসঙ্গে ব্যাট করলে সমস্যায় পরে বোলার। তাঁকে প্রত্যেকবার নিজের লাইন লেন্থ বদল করতে হয়। আর সেটা জেনেই বাজিমাত করে জয় পায় ভারত।
উল্লেখ্য, নাগপুরে টসে জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিং নিয়েছিল। প্রথমে তারা ৪৭.৪ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে ভারত।