বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে আদালত চত্বরে অবমাননাকর মন্তব্য ও আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে হেনস্থার ঘটনায় আদালতের নির্দেশের পরেও হলফনামা জমা দিলেন না তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। আর এর পরই কুণালসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বিশেষ বেঞ্চ। গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্ট চত্বরে এই ঘটনায় আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।
গত ২৫ এপ্রিল কর্মশিক্ষা - শারীরশিক্ষায় অতিরিক্ত শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানির পর আদালত চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর ছবি হাতে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করতে থাকেন তাঁরা। এর পর তাঁরা পৌঁছন হাইকোর্ট চত্বরে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সেরেস্তায়। সেখানে বিকাশবাবুর সহকারী আইনজীবী ফিরদৌস শামিমসহ অন্যান্য আইনজীবীদের ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা।
এই ঘটনায় আদালতের দ্বারস্থ হন আক্রান্ত আইনজীবীরা। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই মামলা গ্রহণ করে শুনানির জন্য বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।
গত ২ মে সেই মামলার শুনানিতে কুণাল ঘোষসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব তলব করে হাইকোর্ট। হলফনামা হিসাবে জবাব আদালতে জমা দিতে বলে ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে কোনও অভিযুক্তের তরফে কোনও হলফনামা আদালতে পেশ করা হয়নি। কুণাল ঘোষ এদিন নিজে আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁর আইনজীবী জানান, কিছু সমস্যার জন্য হলফনামা পেশ করা যায়নি। তখন আক্রান্ত আইনজীবীদের আইনজীবী পার্থসারথি সেনগুপ্ত বলেন, ‘এরা কেউ আদালতের পরোয়া করে না। আদালত অবমাননার রুল জারি করুন। তাহলে এরা সবাই কথা শুনবে।’ এর পর বিচারপতি বলেন, তাহলে আমরা রুল জারি করছি। তখন কুণাল ঘোষ বলেন, তাহলে কিছুটা সময় দিন। তখন বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, কোনও অতিরিক্ত সময় দেওয়া সম্ভব নয়। একথা বলেই রুল জারির নির্দেশ দেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়।