বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > ধর্মশালায় ম্যাচ বন্ধ,আটকে ছিলেন হোটেলে! দিল্লির ট্রেন পেতেই হাঁফ ছেড়ে বাচলেন কুলদীপরা! ফিরলেন দিল্লিতে
আইপিএলের দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ ১০.১ ওভারের পর হঠাৎই থেমে যায়। ধর্মশালায় স্টেডিয়ামের লাইট নিভে যাওয়া হয়, দর্শকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, আলো না থাকার কারণেই এদিন বিদ্যুতের অভাব ম্যাচ করা সম্ভব হয়নি। এরপর কিছুক্ষণ পর থেকেই ভারতের আকাশে টানা পাকিস্তানের ড্রোন হামলার চেষ্টায় ক্রিকেটারদের কাছেও বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়। ভারতীয় ক্রিকেটাররসহ বিদেশি ক্রিকেটাররাও এরপর কার্যত হোটেলে আটকে পড়েন। সীমান্তবর্তি এলাকায় ম্যাচ হওয়ায় মাঝে মধ্যেই পাকিস্তানের সন্ত্রাসের প্রমাণ তারা পাচ্ছিলেন,যখন ভারতের এয়ার সাইরেন বেজে উঠছিল। এই আবহে স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটাররা চিন্তায় পড়ে গেছিলেন। কারণ বিদেশি হোক বা দেশি, কেউই এই ধরণের পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। ধর্মশালা বিমানবন্দর আগেই বিমান ওঠা-নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, এই আবহে ক্রিকেটারদের ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
বিশেষ ট্রেনে ফরে ফেরা ক্রিকেটারদের
যদিও বিশ্বের ধনিতম ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই, মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ক্রিকেটারদের বদ্ধভূমি থেকে বের করে এনে রেলওয়ের সহায়তায়। আইপিএল কর্তৃপক্ষ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেন, আর তাতে করেই ধর্মশালা সংলগ্ন উনা স্টেশন থেকে দিল্লিতে ফেরে দুই দলের সদস্যরা। দুই দলের সদস্যদের মধ্যে ফ্যাফ ডুপ্লেসিসদের চুপ করে বসে থাকার মুখটাই বলে দিচ্ছিল, তাঁরা ভিতরে ভিতরে ঠিক কতটা টেনশনে ছিলেন। কুলদীপ যাদব থেকে শুরু করে প্রাক্তন ক্রিকেটার অঞ্জুম চোপড়া, দঃ আফ্রিকার ক্রিকেটার মার্কো জানসেনরা একসঙ্গেই সেই বিশেষ ট্রেনে করে ফেরেন। এরপরই বিসিসিআইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান ভারতীয় দলের স্পিনার কুলদীপ যাদব।
কুলদীপসহ দুই দলের সেই ভিডিয়ো
উত্তরপ্রদেশের এই ক্রিকটোরকে বলতে শোনা যায়, ‘যেভানে পুরো বিষয়টার বন্দোবস্ত করা হয়েছে,সেটা খুবই ভালো। আমি বিসিসিআই এবং ভারতীয় রেলওয়েকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ’ তিনি দিল্লি ক্যাপিটালসেই দীর্ঘদিন খেলছেন। তাঁদের মতো প্রায় সব ক্রিকেটারের কাছেই এই ধরণেই সাইরেনের আওয়াজ বা ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়া নতুন, কারণ দুই দলের ভারতীয় ক্রিকেটাররা কেউই ৭১-র সেই আবহে দেখেননি।