বর্ডার গাভাসকর ট্রফির মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তৃতীয় টেস্ট ড্র ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে সঙ্গে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন এই অল-রাউন্ডার। সেখানেই তিনি নিজের অবসরের কথা ঘোষণা করেন। এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁর জায়গা পূরণ করার জন্য তনুষ কোটিয়ানকে পাঠানো হল। জানা যায়, মুম্বইয়ের হয়ে খেলা তনুষ কোটিয়ানকে মেলবোর্ন টেস্টের আগেই ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তবে হঠাৎ কুলদীপ যাদব বা অক্ষর প্যাটেলের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের ছেড়ে তনুষকে কেন বাছা হল? মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই কারণ জানালেন ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
এদিন প্রথমে বিষয়টি নিয়ে মজা করে রোহিত বলেন, কুলদীপ ভিসা পায়নি তাই জন্য। পরে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করে জানান তিনি। রোহিত প্রথমে বলেন, ‘তনুষ এখানে একমাস ধরে ছিল এবং কুলদীপ ভিসা পায়নি। আমরা এমন কাউকে চাইছিলাম যে তাড়াতাড়ি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবে। তানুষ খেলার জন্য তৈরি এবং এখানে ও ভালো খেলেছে।’ তারপরে তিনি বলেন, ‘মজার বিষয়টি সরিয়ে রেখে বলছি, সে বিগত দুই বছর ধরে ভালো পারফর্ম করছে। আমরা একজন ব্যাক আপ প্লেয়ার চাইছিলাম, যদি হঠাৎ করে মেলবোর্ন বা সিডনিতে দু’জন স্পিনার খেলাতে হয়।’ সামগ্রিকভাবে, ২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ৩৩টি প্রথম-শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ২৫.৭০ গড়ে ১০১টি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি ৪৭ ইনিংসে ১৫২৫ রান করেছেন, গড় ৪১.২১। তিনি দু'টি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন।
অন্য দিকে অক্ষর প্যাটেল এবং কুলদীপকে কেন ডাকা হয়নি সেই বিষয়টিও স্পষ্ট করেন রোহিত শর্মা। তিনি বলেন, ‘কুলদীপ ১০০ শতাংশ ফিট নন কারণ সে সম্প্রতি হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। অক্ষর সম্প্রতি পিতা হয়েছে, তাই আপাতত বিদেশ সফরে তাকে রাখা হচ্ছে না। সেই জন্য তনুষ ছিল আমাদের জন্য সেরা বিকল্প। গত মরশুমে মুম্বইয়ের রঞ্জি ট্রফি জেতার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল সে।’
উল্লেখ্য, কুলদীপ যাদব অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু টেস্টের পর বাম দিকের কুঁচকির সমস্যার কারণে খেলার বাইরে ছিলেন। এই কারণে তাঁকে চলতি বর্ডার গাভাসকর ট্রফির দল থেকেও বাদ পড়তে হয়েছে। সম্প্রতি জার্মানিতে অস্ত্রোপচারের পরে, কুলদীপ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআই সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে রয়েছেন এবং সেখানে রিহ্যাব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।