গরম একটু বেশি অসহনীয় হয়ে উঠছে এবং তাপপ্রবাহের কারণে স্কুলগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, অনেক সরকারি ছুটি এবং কলেজের গ্রীষ্মকালীন ছুটিও শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন যেহেতু বাচ্চারা বাড়িতে আছে, তাই বিদ্যুৎ বিল বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। গ্রীষ্মের ছুটিতে যখন বাচ্চাদের বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া তো দুরস্ত, এখন সময়টা এমন যে এসি ছাড়া ঘরের ভেতরে এক মিনিটও কাটানো কঠিন হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত এসি ব্যবহার মানে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল। সেটা তাহলে কমবে কীভাবে?
এসির সঙ্গে ফ্যান ব্যবহার করবেন না
বেশিরভাগ মানুষ যে সবচেয়ে বড় ভুলটি করে তা হল তাদের এসির পাশাপাশি ফ্যান চালানোর অভ্যাস রয়েছে। কিন্তু এই পদ্ধতিটি আসলে ভুল। এর ফলে, ফ্যানের গরম বাতাসের সঙ্গে এসির বাতাসও চলাচল শুরু করে এবং ঘর ঠান্ডা হতে অনেক সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের ব্যবহারও বেশি হয়। যদি ফ্যানের নিচে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে, তাহলে প্রথমে এসি চালু করুন, ঘর বন্ধ করে ঠান্ডা করো, তারপর ঘুমানোর সময় এসি বন্ধ করে ফ্যান চালু করুন। এতে ঘরটি দীর্ঘ সময়ের জন্য ঠান্ডা থাকবে এবং বাতাসও বজায় থাকবে।
সার্ভিস ছাড়া এসি ব্যবহার করবেন না
বাতাসের পাশাপাশি ময়লা এবং আবর্জনাও এসি ফিল্টারে যায়। এর ফলে এসি ডাক্ট ব্লক হয়ে যায়। এটি এর কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে এবং এটি ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে যায়। সেজন্য এসি সার্ভিস করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন এসির কর্মক্ষমতা প্রভাবিত হয়, তখন এটি আরও বেশি বিদ্যুৎ খরচ করবে।
এসির টাইমার এবং ফ্যান ফাংশন ব্যবহার করুন
শুধু এসি চালু করা যথেষ্ট নয়। অনেক সময়, প্রচণ্ড গরম থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এসির তাপমাত্রা কমাতে শুরু করি। এমন পরিস্থিতিতে, ১৬ বা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসি চালালে আমরা মনে করি ঘরটি দ্রুত ঠান্ডা হয়ে যাবে। কিন্তু এইভাবে আমরা এসি ব্যবহার করে আমাদের বিদ্যুৎ বিলও বৃদ্ধি করছি। একইভাবে, রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই এসি টাইমার সেট করতে হবে। অনেক সময় রাতে আমরা ঠান্ডা অনুভব করি এবং অলসতার কারণে ঘুম থেকেও উঠতে পারি না। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘরে মোটা পর্দা ব্যবহার করুন
ঘরে যত বেশি সূর্যের আলো প্রবেশ করবে, ঘর ঠান্ডা রাখতে এসিকে তত বেশি পরিশ্রম করতে হবে। একইভাবে, যদি আপনার ঘরে পাতলা পর্দা থাকে, তাহলে তাপ এবং সূর্যালোকের প্রভাব বেশি পড়বে। তাই ঘরে মোটা পর্দা ব্যবহার করলে এবং জানালা-দরজা বন্ধ রাখলে ভালো।