মালদার সংখ্যালঘু সেলের নেতা কর্মীদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু সেলের নেতাকর্মী যারা রয়েছেন তাঁদের কাউকে ভোটের টিকিট দেওয়া হয়নি। টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বজনপোষণ হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সদস্যদের গণ ইস্তফা। প্রতীকী ছবি
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় ধরা পড়ছে অশান্তির ছবি। অধিকাংশ জায়গাতেই শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারই মধ্যে পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়া নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েতের টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে এবার গণ ইস্তফা দিলেন মালদা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের নেতারা। যার মধ্যে ব্লক সভাপতি, সম্পাদক, অঞ্চল সভাপতি এবং সম্পাদক, সদস্য সবমিলিয়ে ১০৭০ জন পদত্যাগ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সংখ্যালঘু সেলের এত জন নেতা কর্মী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় সে ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটে প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মালদার সংখ্যালঘু সেলের নেতা কর্মীদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু সেলের নেতাকর্মী যারা রয়েছেন তাঁদের কাউকে ভোটের টিকিট দেওয়া হয়নি। টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছে। এক্ষেত্রে স্বজনপোষণ হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। এমনকী মোটা টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে বলেও বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন সংখ্যালঘু সেলের নেতারা। এ বিষয়ে তাঁরা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। এই সমস্ত অভিযোগে তাঁরা গণহস্তফা দেন। যদিও এই বিষয়টিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ‘যারা দলের কর্মী নন তারাই পদত্যাগ করেছেন। অসময়ে তারা দিল দলকে বিপদে ফেলার জন্য এইসব করছেন। এতে পঞ্চায়েত ভোটে কোন প্রভাব পড়বে না।’
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদেও জেলা পরিষদের টিকিট পাওয়া নিয়ে অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাই এনিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিযোগ করেছেন, পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে এক কোটি টাকা পর্যন্ত দিতে হচ্ছে।