মঙ্গলবার ভোটগণণার শুরুতে হরিয়ানাতে এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি পাল্টে যায়। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি হরিয়ানায় ৪৮টি আসনে জয়ী হয়েছে। ৯০ আসন বিশিষ্ট হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ৪৬টি আসন। সেই সংখ্যা ছুঁয়ে ফেলেছে বিজেপি। আর কংগ্রেস জিতেছে ৩৭ আসন। যার মধ্যে গুরুগ্রাম জেলার ৪ টির মধ্যে সব কটি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি, যা গতবারের থেকেও বেশি। শুধু তাই নয়, এই জন্য জেলায় বিজেপির ভোটও বেড়েছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন: হরিয়ানা ছুঁল পুরনো রেকর্ড, বিধানসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মহিলা, কোন দলের কতজন জিতলেন
নির্বাচনের আগে নাগরিকদের বিভিন্ন সমস্যা এবং ঠিকমতো পরিষেবা না নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধ একাধিক অভিযোগ উঠেছিল গুরুগ্রামে। তবে তার প্রভাব যে বিধানসভা নির্বাচনে পড়েনি এদিনের ফলাফল থেকেই তা স্পষ্ট। বিজেপি যখন প্রথমবার হরিয়ানায় ক্ষমতায় এসেছিল অর্থাৎ ২০১৪ সালে সবকটি আসনে জয়ী হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালে জেলায় ভোট কমে গিয়েছিল বিজেপির। গেরুয়া শিবির গুরুগ্রামে তিনটি আসন পেয়েছিল। আর সেইসঙ্গে বিজেপির ভোট শেয়ারও কমেছিল অনেকটাই। তবে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পরেও গতবারকে ছাপিয়ে জেলাপ সবকটি বিধানসভা আসন নিজেদের দখলে করে নিল বিজেপি।
শুধু তাই নয়, গতবারের থেকে এবার সেখানে বিজেপির ভোট বেড়েছে ২৬.৭ শতাংশ। হরিয়ানার বৃহত্তম বিধানসভা এলাকা বাদশাপুর দখল করে নিয়েছে। বাদশাপুরে নাগরিক পরিষেবার অভাব নিয়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী রাও নরবীর সিং সেখানে ১.৪ লক্ষ ভোট পেয়েছেন। তিনি কংগ্রেসের বর্ধন যাদবকে ৬০,৭০৫ ভোটে পরাজিত করেছেন। অন্যদিকে, নির্দল প্রার্থী কুমুদিনী তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।