পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান (Fawad Kh💛an) আবারও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ভারতের বিমান হামলায় নিহতদের জন্য ফাওয়াদের শোকবার্তা দেখে ক্ষেপেඣ উঠল তাঁর দেশের লোকেরাই। এমনকী, বিতর্ক বাড়তে নিজের পোস্ট সরিয়েও নিয়েছেন ফাওয়াদ।
কী লেখেন ফাওয়াদ ইনস্টাগ্রামে?
বুধবার, ফাওয়াদ খান তাঁর ইনস্টাগ্রামে ভারতের অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে নিজের মতামত প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, ‘এই লজ্জাজনক হামলার ফলে আহত এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আমি মৃতদের আত্মার শান্তি এবং আগামী দিনগুলিতে তাদের প্রিয়জনদের জন্য শক্তি কামনা করি। সকলের প্রতি এ𝓀কটা অনুরোধ : উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আগুনে ঘি ঢালবেন না। আশা করি, সকলের মধ্যে এই কঠিন সময়ে ভালো বুদ্ধি বিরাজ করবে। ইনশাল্লাহ। পাকিস্তান জিন্দাবাদ!’
ফাওয়াদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল ভারতে ব্লক করা হয়েছে, কিন্তু ღপোস্টের একটি স্ক্রিনশট অনলাইনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে💞। দাবি করা হচ্ছে যে, তীব্র প্রতিক্রিয়ার পর এটি মুছে ফেলা হয়েছে।

ফাওয়াদের উপর অসন্তুষ্ট পাকিস্তানিরা
ফাওয়াদ খানের মন্তব্য পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। করণ এই পোস্টে কোথাও ভারতের নাম উল্লেখ করেননি তিনি। ফলে অনেকেই ধরে নেয় যে, ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই এমনটা করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পুলওয়ামার ঘটনার পর থেকে, ভারতে নিষিদ্ধ থাকার পর, ফাওয়াদ আবির গুলাল দিয়ে বলিউডে কামব𓆏্যাক করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। যা ৯ মে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে, এপ্রিলে পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর, ছবিটির মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।
‘ও নিজের শোকবার্তা নিয়ে নরকে যাক, ভারত যা করেছে তারপরেও সবকিছুকে উত্তেজনাপূর্ণ বক্তব্য বলে দোষারোপ করা হচ্ছে?? তিনি এখনও ভারতের বিরুদ্ধে কিছু বলে🐠ননি।’, আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘তিনি কোথায় ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।’
একটি মন্তব্যে লেখা হয়েছে, ‘আপনার শোকবার্তার প্ﷺরয়োজন নেই।’ তাকে আনফলো করারও আহ্বান উঠেছে পাকিস্তানে।
অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে হওয়া সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃতও-কাশ্মীরে থাকা কিছু জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করার লক্ষ্যে হামলা চালায়।
উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং জানিয়েছেন যে মোট ৯টি জঙ্গিঘাঁটিকে লক্ষ্যཧবস্তু করা হয়েছিল এবং সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি দৃঢ়ভাবে বল꧑েছেন যে, স্থানগুলি এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছিল যাতে বেসামরিক নাগরিকের কোনোভাবে ক্ষতি না হয়।