আরজি করের ঘটনার ১২ দিন হতে চলল। এখনও কোনও শাস্তি হল না। সোমবারের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ওই তরুণী ডাক্তার। নিজের কর্মস্থলে, মেডিকেল কলেজের মতো কোনও জায়গাতেও যে মহিলারা অসুরক্ষিত হতে পারেন, তা বোধহয় কদিন আগেও কেউ স্বপ্নে ভাবেনি। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে, লাখ লাখ মানুষ। নানা মহল থেকে মুখ খুলছেন তারকারা। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররাও গোটা ঘটনা নিয়ে ভিডিয়ো বানিয়ে প্রতিবাদ করে চলেছেন।
আরজে প্রিয়াঙ্কা একটি ভিডিয়ো বানিয়েছেন। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, কীভাবে অটোর চালক চোখ দিয়ে ‘মেপে নেয়’ পিছনে থাকা মহিলা যাত্রীকে। কীভাবে মহিলারা ক্যাবে উঠে অনবরত রাস্তায় তাকিয়ে থাকেন এই ভয়ে, যে গাড়ি সঠিক রাস্তাতেই চলছে কি না! ফেক কল করতে হয় কোনও বাড়ির লোককে। পাঠিয়ে রাখতে হয় লাইভ লোকেশন। এখানেই শেষ নয়, রাস্তাঘাটে কনুইয়ের গুঁতো, নোংরা নজর তো আছেই। তিন-চারটে মেয়ে থাকলেও ভয় হয়, মনে হয় একটা ছেলে যদি থাকত সঙ্গে!
আরও পড়ুন: 'বিচ্ছিন্ন ঘটনা' বলেও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ সৌরভ-ডোনার, পথে না নেমেও কী করলেন 'দাদা'?
এক নেট-নাগরিক লিখেছেন কমেন্টে, ‘মেয়েরা অস্ত্র তুলে নাও। এই যুগে লক্ষী আর নয় মা কালীকে স্বরণ করো’। দ্বিতীয়জনের মন্তব্য, ‘দিদি একদিন ট্রেনে একজন লোক আমার সাথে এমন নোংরামি করতে চাইচিল ইচ্ছা করে গায়ে হাত দিচ্ছিল। ট্রেন থেকে নামার আগে একটা সেপ্টিপিন সোজা করে তার গায়ে পুঁতে দিয়েছি’। তৃতীয়জন লেখেন, ‘সত্যিই এমন কোনো মেয়ে নেই যে এই রকম পরিস্থিতি মধ্যে দিয়ে হয়নি...!!’
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে ২৬ লক্ষ ভারতীয় চাকরি করেন’, বলছেন সেদেশের আইন উপদেষ্টা, তসলিমা বললেন…
চতুর্থজন লিখলেন, ‘কথাটা সত্যি, সুযোগ পেলে পৃথিবীর ৯৫ শতাংশ পুরুষরাই রেপিস্ট দের দলে থাকত। হয়তো আমিও ?????’
আরও পড়ুন: 'কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল!' হঠাৎ কেন এমন লিখলেন শ্রীময়ী?
কদিন আগে বিটকেল বাঙালি ওরফে সৈয়দ শামসিল ভিডিয়ো বানিয়েছিলেন, যেখানে ব্যাঙ্গাত্মক ভিডিয়ো বানিয়ে বলতে শোনা যায়,
‘কিছু না কিছু ইঙ্গিত তো মেয়েটা দিয়েছিল। আমি সিওর। কী ড্রেস পরেছিল? আমি সিওর কোনও না কোনও টাইট ফিটিংস জামাকাপড়। এতজন ছিল, ওই কেন ওখানে গেল? ও কেন বাকিদের ইঙ্গিত দিচ্ছিল? পৃথিবীতে এত তো মেডিকেল কলেজ ছিল, মেয়েটা আরজি করেরই কেন ডাক্তার? আরেকটা জিনিস ভাবার আছে, মেয়েটা ডাক্তার কেন হল? এত কিছু তো হওয়া যায়, ডাক্তার কেন হল? এগুলো ভাবার আছে। মেয়েটা জন্মাল কেন? নাও তো জন্মে থাকতে পারত, তাও কেন জন্মাল? মেয়েটার বাবা-মা কেন জন্মেছে? মেয়েটা ওইদিনই কেন ডিউটিতে গেছিল যেদিন ঘটনাটা হবে? মেয়েটা যখন জানত ঘটনাটা হবে, বেঁচে ছিল কেন? মেয়েটা মেয়ে হল কেন? ওটাও একটা ভুল ওর। মেয়েটা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল কেন? বাড়িতে থাকতে পারত! বাড়িতে থাকলে কি ওর সঙ্গে এসব হত? ওটাই ওর ভুল হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে বেরনোটাই ভুল হয়ে গেছে। দেখ, চাইলে আমিও প্রোটেস্ট করতে পারি। কিন্তু আমি পরেরটায় প্রোটেস্ট করব। এটায় ভালোলাগছে না!’