পেশায় তিনি লেডি কনস্টেবল, কিন্তু নাচ তাঁর ভালবাসা, তাই পুজোর জমে থাকা ছুটি নিয়ে ‘ডান্স বাংলা ডান্স ২০২৫’-এর মঞ্চে এসেছিলেন সায়ন্তী। কিন্তু মাত্র দু মাসেই থামল তাঁর ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর সফর। চোখের জলে বিদায় নিলেন সায়ন্তী গোস্বামী।
প্রশাসনের কাজ সামলে নাচকে পাশাপাশি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে সায়ন্তী। অডিশনের দিন থেকে সকলের মন জয় করে নিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে বিচাকরা তাঁকে পড়ুয়া ভেবে ভুল করলেও, পরে তিনি নিজেই সেই ভুল ভাঙিয়ে জানান, তিনি একজন লেডি কনস্টেবল। তারপর একের পর এক পারফর্মেন্স দিয়ে বিচারক থেকে দর্শক সকলের মন জয় করে নেন।
আরও পড়ুন: মা আর নেই, কানে গিয়েও তাঁর স্মৃতিতেই বুঁদ জ্যাকলিন! বললেন, 'এখনও মানতে পারছি না...'
সেলেব স্পেশাল পর্বে তাঁকে পর্দার ‘পারুল’ ঈশানী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও 'বরশ রে মেঘা মেঘা' গানেও নাচ করতে দেখা গিয়েছিল। যখন তিনি মঞ্চে এসেছেন, তখনই সকলের মন জয় করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। রবিবারের মাধুরী দীক্ষিত স্পেশাল পর্বে তিনি 'ডান্স বাংলা ডান্স' থেকে বাদ পড়েলেন। চোখের জলে মঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন সায়ন্তী। তবে তাঁর আগের সব পারফর্মেন্সের কথা মাথায় রেখে এমজি অর্থাৎ মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন। এমজির হাতে আছে ওয়াইন্ড কার্ড এন্টির বিশেষ ক্ষমতা। যখন ওয়াইন্ড কার্ড এন্টি হবে তখন এমজি তাঁকে ফের মঞ্চে ফিরিয়ে আনবেন এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, মার্চে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর গ্র্যান্ড অডিশনে এসে সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন সায়ন্তী। সায়ন্তীকে শুভশ্রী প্রশ্ন করেছিলেন, ‘তোমার পড়াশোনা কমপ্লিট?’ তাতে সকলকে অবাক করে তিনি বলেছিলেন, তিনি লেডি কনস্টেবল। যা শুনে রীতিমতো অবাক হন সেটের সবাই।
আরও পড়ুন: মেগার কাজ নিয়ে প্রবল ব্যস্ত দেবাদৃতা! কিন্তু ছেলেবেলায় গরমের ছুটি কেমন কাটত মিঝিঝোরার ‘নীলু’র?
সায়ন্তীকে সগর্বেই বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বর্তমানে আমি লেডি কনস্টেবল। হেয়ার স্ট্রিট থানায় আছি। কলকাতা পুলিশের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে চাকরি করছি।’
তাঁর কথা শুনে খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে ডান্স বাংলা ডান্সের অডিশনে যদি তাঁকে বাছাই করা হয়, তাহলে কীভাবে চাকরি ও ডান্স বাংলা ডান্স দুটো দিক সামাল দেবেন তিনি? কারণ পুলিশ মানেই তো কাজের প্রচুর চাপ! এতদিন ছুটি কি আদৌও পাবেন সায়ন্তী? নাকি ছেড়ে দেবেন চাকরিটাই?
এতে জবাব আসে, ‘আমি এখানে বলে রাখতে চাই, আমার ডিপার্টমেন্ট, গোটা কলকাতা পুলিশের সকলে, আমার নিজের থানার অ্যাডিশনাল ওসি ম্যাডাম, ওসি ম্যাডাম, অন্য সিনিয়রসরা, প্রত্যেকে ভীষণ সাপোর্টিভ এসব কালচারাল বিষয়ে।'
ছুটি পাওয়ার ব্যাপারটাও স্পষ্ট করেন তিনি। বললেন, ‘আমারা যেহেতু ফোর্সের আন্ডারে, সমস্তটাই প্রোটোকল মেনে হয়, দুর্গাপুজোয় আপনারা সবাই জানেন, প্রত্যেকে আনন্দ করে, আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি। আমার সেই গতবছরের পুজোর ছুটিটা জমিয়ে রাখা ছিল। আমরা পরবর্তীতে একটু ছুটি পাই, সেটা নিয়ে এখানে আসা হয়েছে, অবশ্যই ডিপার্টমেন্টের পারমিশন নিয়ে।’