Tahira Kashyap: ‘প্লিজ বন্ধ করুন…', ক্য়ানসারের অস্ত্রোপচারের আগে ডাক্তাররা গান বাজাতেই ভয়ে বলে ওঠেন তাহিরা!

ফের একবার স্তন ক্যানসার থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। কিছুদিন আগেই সকলের সঙ্গে একথা ভাগ করে নিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানার পরিচালক-লেখিকা স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ। এই খবর শুনে মন খারাপ হয়ে যায় তাহিরার অনুরাগীদের। যদিও তাহিরা সূর্যমুখী ফুল হাতে ছবি দিয়ে জানিয়েছিলেন ‘আমি সেরে উঠছি।’তবে ফের একবার তাহিরার পোস্ট মন খারাপ করে দিল তাঁর অনুরাগী সহ নেটপাড়ার বাসিন্দাদের। ক্যানসারের চিকিৎসায় হাসপাতালে যেতে হয়েছিল তাহিরাকে। সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাঁর মন ভালো করতে এমন একটি গান বাজান, যা শুনে তৎক্ষণাৎ ‘প্লিজ বন্ধ করুন’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। সেকথাই ফের সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন আযুষ্মানের স্ত্রী।ঠিক কী ঘটেছিল তাহিরার সঙ্গে? কী এমন গান বাজিয়েছিলেন চিকিৎসকরা?১১ এপ্রিল, শুক্রবার তাহিরা একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন। যার ক্য়াপশানে লেখা, 'হাসপাতাল এবংশল্য চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গীতের যোগাযোগ আছে।' প্রথম স্লাইডে তিনি লিখেছেন, 'যখন আমাকে স্ক্যান করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন ডাক্তাররা আমার মুড ভালো করার জন্য গান বাজাতে শুরু করেন। সেটি ছিল 'কাল হো না হো'-এর (শাহরুখ খানের ছবির গান)। আর সেই গান শুনেই আমি বলে উঠলাম, 'স্যার, আমি আপনার ভাবনা বুঝতে পারছি, কিন্তু প্লিজ এটা বন্ধ করে দিন।'প্রসঙ্গত, 'কাল হো না হো' ছবিতে নায়কও ছিলেন ক্য়ানসার আক্রান্ত। ক্রমশ মৃত্যু নিকটে আসছে, এই আবহেই গানটি তৈরি।আরও পড়ুন-পেটের মাঝে লাল বেলুন নিয়ে খেলা! ছেলের বয়স আড়াই মাস, সায়নদীপের হাত ধরেই দিদি নম্বর ১-এ হাজির নতুন মা রূপসা তাহিরার পোস্টের দ্বিতীয় স্লাইডে লেখা ছিল, 'অপারেশন থিয়েটারে অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে আমি কোন গান শুনতে চাই? আমি তখন সেখানে তাঁদের সকল যন্ত্রপাতি দেখেছিলাম এবং আমর আমার মথার মধ্যে বাজছিল 'চাক্কু-ছুরি তেজ করওয়ালো' গানটি। যেটি কিনা অমিতাভ বচ্চনের ছবির একটা গান।তৃতীয় স্লাইডে তাহিরা লিখেছেন, 'অস্ত্রোপচারের অনেক ঘন্টা পর ডাক্তার আমাকে কিছুক্ষণ করিডোরে ঘুরে বেড়াতে বলেছিলেন। তবে আমার কোনও ধারণা ছিল না যে আমি অন্যান্য রোগীদের সম্পর্কেও জানতে পারব। ৭০ বছর বয়সী এই মহিলা তার দরজা বন্ধ রেখে একজন অভিনেতার প্রেম জীবন এবং তার সাম্প্রতিক সম্পর্কের প্রকাশ সম্পর্কে গভীরভাবে শুনছিলেন। কয়েক মিনিট পরে, আমি তাকে তার ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখলাম, আমার আগে দৌড়ে। বললেন, 'যদি ওরা এতো হুলস্থুল করতে পারে, তাহলে আমি কেন পারব না?' তাহিরা সবশেষে লিখেছেন, 'আমি সবসময় সিনেমার শক্তির কথা জানতাম - পর্দায় এবং পর্দার বাইরে উভয় জায়গায়।'