Durga Puja In Bangladesh: বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উৎসব শারদোৎসব। কিন্তু এই পুজো নিয়েই সম্প্রতি দেখা দিয়েছে দোলাচল। কারণ সেই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। হাসিনা সরকার পতনের পর নতুন অন্তবর্তী সরকার গঠন হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু সংখ্যালঘুরা সেখানে এখনও নিরাপদ নয় বলেই দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। একাধিক ঘটনার মধ্যে দিয়ে সেই দাবি কিছুটা হলেও বাস্তব হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে দুর্গা পুজো করতে ভয় পাচ্ছেন বহু উদ্যোক্তা। বহু জায়গায় দুর্গা পুজো বন্ধ রাখা হচ্ছে হুমকি পেয়ে। হুমকি আসছে ইসলামপন্থী মৌলবাদী সংগঠনগুলির তরফে। ঠিক কতগুলি পুজো হচ্ছে বাংলাদেশে? সম্প্রতি জানা গিয়েছে সেই তথ্য।
বাংলাদেশে কতগুলি পুজো হচ্ছে এবার?
বাংলাদেশে মোট কতগুলি পুজো হচ্ছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনও পর্যন্ত অজানা। তবে রাজধানী ঢাকার একটি পরিসংখ্যান সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। বাংলাদেশের পুজো উদযাপন পরিষদ সংবাদমাধ্যম জি মিডিয়াকে জানিয়েছে, মোট ২৫৭টি পুজো এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ৯ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত পুজো হবে। ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীর দিন বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে পুজো। ১৩ অক্টোবর মায়ের বিসর্জন হবে রীতি মেনে।
আরও পড়ুন - Ranaghat Buro Maa Puja: ৭৬৩ বছর ধরে পূজিত হন ‘বুড়ো মা’, রানাঘাটের এই পুজোর নেপথ্যে চমকপ্রদ ইতিহাস
পুজোর জন্য নিরাপত্তা কতটা কড়া?
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আশ্বাস দিয়েছেন সবরকম নিরাপত্তা পাবে পুজো প্যান্ডেলগুলি। কিন্তু সেই নিরাপত্তাতেও অনেকে আশ্বস্ত হতে পারছেন না। ফলে অনেক জায়গাতেই পুজো জৌলুস হারিয়েছে। এই অবস্থায় ঢাকার চিত্র কিছুটা হলেও আলাদা বলে মনে করছেন অনেকে। ঢাকায় ইতিমধ্যেই পুজোর বাজারে ভিড় তুঙ্গে রয়েছে। পুজোর জন্য কেনাকাটা শুরু করে দিয়েছেন প্রায় সকলেই। এমনকি পুজোর সামগ্রী কেনার জন্য শাঁখারি বাজারে পুরনো দোকানগুলিতেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা।
কোন কোন পুজো আয়োজন হচ্ছে?
কলাবাগান, শাঁখারী বাজার, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন, বনানী, রমনা কালী মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, ফার্মগেটের খামারবাড়ি, পুরনো ঢাকার শাঁখারী বাজার ও তাঁতী বাজার এলাকার মণ্ডপগুলিতে প্রতিবারের মতোই পুজো আয়োজিত হবে বলে জানিয়েছে সেই দেশেই পুজো উদযাপন পরিষদ। চলতি বছরে নিরাপত্তার জন্য ২৪ ঘন্টা আইনরক্ষকবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে পাহারা দেবে। মাঝরাত বা গভীররাতেও তাদের পাহারায় রাখা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।