জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের ঠিক সামনে পাক গোলাবর্ষণ হল এবার। সংবাদসংস্থা ♏এএনআই-কে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে মন্দিরের ঠিক মূল গেটের সামনে ক্ষেপণাস্ত্র হানা হয়েছে। ঘটনাচক্রে, ওই স্থানেই ভোর ভোর পুজো দিতে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্দিরের গেটের সামনে গোলবর্ষণ হলেও মন্দিরের কোনও ক্ষতি হয়নি। ইতিমধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়েছে জম্মুর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এছাড়াও উপস্থিত রয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা।
আপ শম্ভু মন্দিরের ইতিহাস
জম্মুর আপ শম্ভু মন্দিরের অলৌকিক শক্তিই মন্দিরকে রক্ষা করল শত্রুদেশের হাত থেকে? মন্দিরে আনাচেকানাচে কান পাতলেই শোনা যাবে এই মন্দিরের এক অলৌকিক উত্থানকাহিনি। মেওয়ারের রাজা মহারাণা রাণা প্রতাপ সিং স্বয়ং সেই কাহিনির নায়ক। তাঁর সময়কালেই এই𝓀 মন্দির নির্মিত বলে ধরা হয়। সেই অর্থে প্রায় ৪ শতাব্দী ধরে এখানে পূজিত হচ্ছেন ত্রিকালেশ্বর। জম্মু কাশ্মীরের নানা ট🐓ানাপোড়েনের মধ্যেও অলৌকিক শক্তি নিয়ে দণ্ডায়মান মহাদেবের এই মন্দির।
আরও পড়ুন - ছক ভাঙার সাহস ไওঁর মধ্যে বরাবর দেখেছি’ সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা লিখলেন গব🌱েষক সাবির আহমেদ
মহিষের অলৌকিক দুগ্ধদোহন
তখন এই অঞ্চলে গভীর নির্জন বন । নিয়মিত এখানে আসতেন মহারাণা প্রতাপ। বনের নিচের উপতক্যায় একটি গ্রাম, সেখানে বসবাস করত গুর্জররা। এক গুর্জর তাঁর গরু-মহিষগুলোকে চরাতে জঙ্গলে ছেড়ে দিতেন। তাদের মধ্যে এক মহিষের অদ্ভুত কার্যকলাপ একদিন নজর কাড়ল ওই ꦰগুর্জরের। এখন মন্দির যেখানে, সেখানে সেই মহিষটি এসে দাঁড়ায়। দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই তার দুধ ঝরতে শুরু করল। এদিকে মহিষটি বাড়িতে দুধ দিত না। স্বভাবতই ঘটনাটি আশ্চর্য ঠেকে তার মনিবের কাছে। তিনি দূর থেকে দেখে অনুমান🗹 করেন, কেউ নিশ্চয়ই তার দুধ দোহন করছে।
পাথরেই মিলিয়ে যাচ্ছে দুধ!
পরদিনের ঘটনা। ওই গুর্জর নিজে মহিষের সঙ্গে আসে পাথরটার কাছে। এই পাথরের উপরেই দাঁড়াতেই ফের দুধ ঝরা আরম্ভ হল। কাছে গিয়ে মনিব দেখলেন, 🎐দুধ পাথরের উপর পড়ছে এবং সেখানেই মিলিয়ে যাচ্ছে! ঘটনাটি রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করে। ওই ব্যক্তি ভাবেন, নিশ্চয়ই কোনও প্রেতাত্মা রয়েছে মাটির নিচে। অতঃপর খোঁজ শুরু। মহিষকে তাড়া করে পাথর দিয়ে শুরু হয় সেই পাথর ভাঙার চেষ্টা। এর পর কুড়োল দিয়ে খুঁড়তে থাকেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু কুড়োলের ঘা পেতেই রক্ত বেরোতে থাকল সেখান থেকে!
আরও পড়ুন - সাইরেন, ব্ল্যাক আউটের সঙ্গে আগেও ঘর করেছে বাঙালি, একাত্তরের সরণ🍬ীতে ফিরলেন সেদিনের তরু✅ণী
তল মিলল না তাঁর
এই অলৌকিক ঘটনা মুখে মুখে ছড়ღিয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। যথারীতি কানে উঠল মহারাণা প্রতাপ সিংয়ের। তিনি নিজে সেখানে এলেন। স্থানটি দেখামাত্রই তাঁর মনে যেন ঈশ্বরদর্শন ꦗহল। দেখা দিলেন দেবাদিদেব মহাদেব। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল ত্রিকালেশ্বরের নাম। তখনই মন্দির করার সিদ্ধান্ত নেন মহারাণা প্রতাপ। কিন্তু এই গভীর বনে কে আসবে পুজো দিতে? অতঃপর ফের খননকার্য শুরু। উদ্দেশ্য ওই শিলাখণ্ডকে উত্তোলন করে অন্য কোনও জনবসতিপূর্ণ স্থানে প্রতিষ্ঠিত করা। কিন্তু অলৌকিক ঘটনার তখনও কিছু বাকি ছিল। কথিত আছে, সেই শিলাখণ্ডের কোনও তল মেলেনি। অগত্যা, সেখানেই মন্দির নির্মাণ করলেন মহারাণা প্রতাপ সিং।
সম্প্রীতি ভোজের আয়োজন
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই মন্দিরে পুজো দিয়ে আসছেন ভক্তরা। মহাশিবরাত্রিতে প্রতি বছর হাজার হাজার ভক্তের সমাগ🐲ম হয় মন্দিরে। পাশাপাশি সম্প্রীতি ভোজের আয়োজনও করে থাকে মন্দির কর্তৃপক্ষ। পাক ক্ষেপণাস্ত্র সেই মন্দিরই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টায় ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।