কোভিশিল্ড নিয়ে তুমুল তরজা চলছে। উঠছে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার প্রশ্ন। এরই মাঝে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে কোভ্যাক্সিন উৎপাদনকারী সংস্থা ভারত বায🔯়োটেক। এক্সে পোস্ট করে বলেছে, আমাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ। এটি তৈরি করার সময়, আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল মানুষের নিরাপত্তা এবং দ্বিতীয় অগ্রাধিকারটি ছিল ভ্যাকসিনের গুণমান বজায় রাখা।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে যে ভারত সরকারের কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন প্রোগ্রামে কোভ্যাক্সিনই একমাত্র ভ্যাকসিন, যার পরীক্ষা ভারতেই পরিচালিত হয়েছিল। কোম্পানির তরফে জানানো হয়েছে যে, লাইসেন্স পাওয়ার 🌜জন্য ২৭ হাজার মানুষের ওপর কোভ্যাক্সিন পরীক্ষা করা হয়েছিল।
- ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের কারণে কোনও রোগের ঘটনা ঘটেনি
আসলে, এই মুহূর্তে কোভিশিল্ড নিয়ে কথা উঠেছে যে খুব বিরল ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোম অর্থ🌼াৎ টিটিএস এর কারণ হতে পারে। এই রোগের কারণে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধে এবং প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যায়। স্ট্রোক এবং হার্ট বিট ফেইলিউরের মতো গুরুতর সমস্য💯া দেখা দিতে পারে, এই রোগ হলে। আর টিটিএসের সম্ভাবনা স্বীকার করে নিয়েছে নির্মাতা অস্ট্রোজেনা নিজেই।
এরই মধ্যে ভারত বায়োটেক দাবি করেছে যে কোভ্যাক্সিনের সুরক্ষা দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছিল। কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন থেকে শুরু করে মানুষের কাছে পৌঁছোনো পর্যন্ত, এর নিরাপত্তা ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত, কোভ্যাক্সিনের সাথে রক্ত জমাট বাঁধা, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া, টিটিএস, ভিআইটিটি, পেরিকার্ডাইটিস, মায়োকার্ডাইটিসের মতো কোনও রোগের কোনও ঘটনা রিপোর্ট করা হয়নি। সংস্থাটি আরও বলেছে যে ভারত বায়োটেဣক দল আগে থেকে জানত যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রভাব স্বল্পমেয়া﷽দী হতে পারে, তবে রোগীর সুরক্ষার উপর এর প্রভাব আজীবন থাকতে পারে। এই কারণেই আমাদের প্রাথমিক ফোকাস ছিল আমাদের সমস্ত ভ্যাকসিনের নিরাপত্তার দিকে।
- কোভিশিল্ডটি ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের সূত্রে তৈরি
পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট দেশে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল। এর নাম ছিল কোভিশিল্ড। এর সূত্রটি ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন থেকে নেওয়া হয়েছিল। আর সম্প্রতি, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, একটি ব্রিটিশ আদালতে স্বীকার করেছে যে তাদের ভ্যাকসিনের বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাইহোক, এটি শুধুমাত্র খুব বিরল ক্ষেত্রে ঘটবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের ভ্যাকসিনের কারণে বহু মানুষের 🤡মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিযুক্ত। আরও অনেককে গুরুতর অসুস্🅠থতার সম্মুখীন হতে হয়েছে। কোম্পানিটির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ৫১টি মামলা চলছে। ক্ষতিগ্রস্থরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন। এরই আবহে, ভারতে কোভিশিল্ড নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড তদন্তের জন্য বুধবার সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। বলা হয়েছে, কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তদন্তের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের নির্দেশনা জারি করতে হবে।