৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়ে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। আর অন্যদিকে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমান্তে অবস্থিত বিজাপুরের কারেগুট্টা পাহাড়ের ঘন জঙ্গলে ঘেরা এলাকায় চলছে দেশের বৃহত্তম মাওবাদী বিরোধী অভিযান ‘অপারেশন সংকল্প’। সেই অভিযানে বুধবার বড়সর সাফল্য প💮েল নিরাপত্তা বাহিনী। বিজাপুর জেলার এই জঙ্গলে এদিন নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে ১৫ জন মাওবাদী। রাজ্যের এক পুলিশকর্তা এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পড়শি রাজ্যে খতম ৮ মাওবাদী, মৃত এক নকশ🅺ালের মাথার দাম আবার ছিল ১ কো♈টি!
জানা গিয়েছে, এদিন সকাল থেকেই মাওবাদীদের সঙ্গে তুমুল গুলির লড়াই চলে নিরাপত্তা বাহিনীর। আধিকারিকদের প্রাথমিক ধারণা, দু পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে🎐 ১৫ থেকে ১৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা কত? তা আরও কয়েক ঘণ্টা পরে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত মাওবাদী বিরোধী অভিযান এলাকায় অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা।
এর আগের দিন মঙ্গলবার ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলি লড়াইয়ে একজন মহিলা মাওবাদী নিহত হয়েছেন।পুলিশের আইজি (বাস্তর রেঞ্জ) সুন্দররাজ পꦗি জানিয়েছেন, সোমবারও কারেগুট্টা পাহাড়ের আশেপাশের বনাঞ্চলে গুলির লড়াই চলে। ওইদিন ৪ মহিলা মাওবাদীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ঘটনাস্থল থেকে একটি পয়েন্ট ৩০৩ রাইফেলও উদ্ধার করা হয়েছে বলে সুন্দররাজ জানিয়েছেন। তারও আগে ২৪ এপ্রিল কারেগুট্টা পাহাড়ে তিনজন মহিলা মাওবাদী নিহত হয়েছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং অন্যান্য উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছিল।আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বস্তার অঞ্চলে শুরু হওয়া অভিযান গুলির মধ্যে বুধবারের অভিযানটি🌞 ছিল সবচেয়ে বড়।
উল্লেখ্য, ওই অঞ্চলে মাওবাদীদের সবচেয়ে শক্তিশালী সশস𒐪্ত্র বাহিনী ব্যাটালিয়ন নং ১ এবং তেলেঙ্গানা রাজ্য মাওবাদী কমিটির শীর্ষ ক্যাডারদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার পরেই ২১ এপ্রিল থেকে অপারেশন সংকল্প শুরু করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই পুরো মাওবাদী বিরোধী অভিযানের সঙ্গে প্রায় ২৪,০০০ নিরাপত্তা কর্মী জড়িত। তাঁদের যৌথভাবে সাহায্য করছে জেলা রিজার্ভ গার্ড, বস্তার ফাইটারস, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, রাজ্য পুলিশের সমস্ত ইউনিট এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং এর ‘কোবরা’ সহ অন্যান্য ইউনিট।