বদলের বাংলাদেশে এখন সব কিছুই বদলে যাচ্ছে। পাঠ্যবই থেকে বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে ফেলা, বাসভবন ভাঙচুর, ইতিহাসের পাতা থেকে ছেঁটে ফেলা, মূর্তি ভাঙচুর এবং নাম বদলের হিড়িক। শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের নাম বদল–সহ নানা কাজ এখন হচ্ছে অন্তর্বর্তী মহম্মদ ইউনুস সরকারের জমানায়। যার সদ্য বদলের নজির বঙ্গবন্ধু স্যাটে🧸লাইট–১ এর নাম পরিবর্তন। এবার এই স্যাটেলাইটের নাম বদল করে ‘বাংলাদেশ স্যালাইট–১’ করার প্রস্তাব অনুমোদন কর💙েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহম্মদ ইউনুস। এই বদল করার জেরে কি কোনও উন্নতি ঘটছে পদ্মাপারে? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশে এখনও যে অস্থির পরিস্থিতি রয়েছে তাতে ওখান থেকে এখানে চলে আসতে চাইছেন নাগরিকরা। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে বহু মানুষই এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে বলে খবর। তাদের আবার ধরা হচ্ছে। কখনও বিএসএফ তো কখনও রাজ্য পুলিশ ধরছে। তারপরও রাতের অন্ধকারে অবৈধ🐷 অনুপ্রবেশে চেষ্টা অব্যাহত। আজ, সোমবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিএল) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১ এর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে আজ সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুলভ শৌচাগারে ঢুকে নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ, ভরদুপুরে সোদপুর স্টেশন সরগরম
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মহম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১ (বিএস–১)–এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট–১ (বিএস–১) করার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন। এই বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রকর ভূমিকা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‘বঙ্গবন্ধু💖 স্যা🍷টেলাইট–১ (বিএস–১) এর নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ স্যাটেলাইট–১ (বিএস–১) করার প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করেছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি এই স্যাটেলাইটের মালিকানা হস্তান্তর করা হয় নতুন কোম্পানি বিএসসিএলের কাছে। এই কোম্পানি গঠন করা হয় স্যাটেলাইটের পরিচালনা করার জন্য। বিএসসিএল ডাক ও টেলি🍰যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতি♛ষ্ঠান। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের ক্লাবে যুক্ত হয় বাংলাদেশের নাম।