বাংলাদেশের রাজনৈতিক পারদ ক্রমেই চড়েছে সেদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে ঘিরে। সদ্য বাংলাদেশের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এক সভা থেকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন’। এর জেরে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে নানান চর্চা উঁকি দিচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অলিন্দে।
ইতিমধ্যেই মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে শাসকপক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার। রাখাইনে মানবিক করিডর দেওয়ার পাশাপাশি, চট্টগ্রামে বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বা এনসিটির ব্যবস্থাপনা বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া নিয়ে তুঙ্গে পারদ চড়েছে বাংলাদেশে। চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে যে মূল বিতর্ক তা হল, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল আওয়ামি লিগ সরকারের আমলে, আরব আমিরশাহির বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে জিটুজি ভিত্তিতে দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনার ভার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই প্রক্রিয়া বর্তমানে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইউনুস সরকার। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বাংলাদেশের বিএনপি সহ একাধিক রাজনৈতিক পক্ষ। প্রশ্ন উঠছে, এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার অধিকার সরকারের আছে কি না, তা নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলল বাংলাদেশের বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।
( কৃপা করবেন স্বয়ং গুরু, চন্দ্র! কুম্ভ সহ এই ৩ রাশির সমৃদ্ধি রোখা মুশকিল! আসছে তাবড় যোগ)
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ খুলনায় এক সভায় মহম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে বলেন,'আপনার সরকারে একজন বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। আপনার কি সেই আক্কেলজ্ঞান নেই- একজন বিদেশি নাগরিকের কাছে এই দেশের সেনাবাহিনী কীভাবে নিরাপত্তাসংক্রান্ত রিপোর্ট প্রদান করবে!' সালাহউদ্দিন আরও বলেন,' তিনি রোহিঙ্গা করিডোরের নামে, মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চান। সেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বিদায় করুন।' তিনি প্রশ্ন তোলেন,'এই দেশে বন্দর, করিডোর- সব কিছু নাকি ইউনুস সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে। বিদেশে আপনি কী কন্ট্রাক্ট করে এসেছেন জানি না।' আহমেদের প্রশ্ন,'আপনি অবলীলাক্রমে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর, নদীবন্দর, করিডোর সব বিদেশিদের কাছেন হস্তান্তর করবেন- কী চুক্তি করে এসেছেন?'
এদিকে, নাগরিকত্বের প্রশ্নের জবাবে খলিলুর বলেন,' আমি একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আমার পূর্ণাঙ্গ অধিকার ভোগ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।' এছাড়াও বিএনপির ওই নেতার দিকে টার্গেট করে তিনি বলেন,'এই অভিযোগ যিনি করেছেন, তাকে সেটি প্রমাণ করতে হবে। প্রয়োজনে আাদলতের মাধ্যমে এটি প্রমাণ করতে হবে।' উল্লেখ্য়, খলিলুর বাংলাদেশের এক তাবড় অর্থনীতিবিদ তথা সিভিল সার্ভিসেসের অফিসার ছিলেন। বহুদিন তিনি রাষ্ট্রসংঘে বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন। হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুল অফ গর্ভনমেন্ট থেকে তিনি অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।