হায়দরাবাদের চারমিনারের কাছে একটি বহুতলে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে শিশু-সহ কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: মাথায় কী আছে? ভারতকে নকল করা ছাড়া যেন কিছুই পারে না পাকিস্তান)
আরও পড়ুন: লস্কর যোগ থাকা ভারত বিরোধী জিহাদিকে নিয়োগ হোয়াইট হাউজ প্যানেলে! কী চায় ট্রাম্প?
জানা গেছে, রবিবার সকাল ৬:৩০ টা নাগাদ চারমিনারের কাছে ঐতিহাসিক গুলজার হাউজের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। গুলজার হাউসের নীচে একটি গয়নার দোকান ছিল। সেখানে প্রথমে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে দোকানের উপরে থাকা বহুতলে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই আগুন।।আতঙ্কে চারিদিকে ছোটাছুটি করতে থাকেন বাসিন্দারা।কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ১১টি ইঞ্জিন। কয়েক ঘন্টার যুদ্ধকালীন চেষ্টায় দমকলবাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠায়। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় দমকলের আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। এদিকে, সকাল পর্যন্ত পাওয়া খবরে প্রায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু পরে একজন দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৭ জন মারা গিয়েছেন। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। তবে কর্মকর্তাদের অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লাগতে পারে। যা নিমেষেই চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। (আরও পড়ুন: এক পাক অফিসারের ফাঁদে পড়ে জ্যোতি হলেন ভারতের 'মাতা হারি', কে এই দানিশ?)
আরও পড়ুন: পাক সন্ত্রাসবাদে প্রচ্ছন্ন মদত ট্রাম্পের? আমেরিকাকে তোপ RSS-এর মুখপত্রে
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি জানিয়েছেন, 'অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলজার হাউস এলাকায় তাঁদের দোকানের উপরেই বাস করতেন। আমি ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছি। তবে এতে কাউকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। কিন্ত পুলিশ, পৌরসভা, দমকল এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। কারণ সেই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অগ্নিনির্বাপকদের কাছে প্রাথমিকভাবে উপযুক্ত সরঞ্জাম ছিল না। আগামী দিনে আরও উন্নত প্রযুক্তি আনা উচিত। আমি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। এবং এই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়ার চেষ্টা করব।'
অন্যদিকে, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেভন্ত রেডিও এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন। প্রশাসনিক আধিকারিকদের ত্রাণ প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বলেছেন। প্রায় ২০ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে সারি সারি গয়নার দোকান রয়েছে। এবং এটি ঐতিহাসিক চারমিনারের খুব কাছেই অবস্থিত। এই ঘটনায় দ্রুত সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যালয় জানিয়েছে যে, 'অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী গভীরভাবে মর্মাহত। যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাদের সমবেদনা জানিয়েছেন। নিহতদের প্রত্যেকের নিকটাত্মীয়কে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আহতদের ৫০,০০০ টাকা দেওয়া হবে।'