অসমের ড🔴িমা হাসাও জেলার খনি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ পাঁচ শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা হল। দুর্ঘটনার ৪৪ দিন পর ওই পাঁচজন হতভাগ্য শ্রমিকের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হল। যাঁদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এক শ্রমিকও রয়েছেন। আগেই এই ঘটনায় আরও চার শ্রমিকে মৃতদেহ উদ্ধার করা 🅰হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের সূত্র মারফত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) একথা জানা যায়। যদিও পরে, এদিন বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ নিয়ে তাঁর এꦅক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন।
মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আজ উমরাংসো খনি থেকে জল বের꧅ করার কাজ সেই স্তর পর্যন্ত সম্পন্ন হল, যতটা জল বের করা হলে উদ্ধারের কাজ পুনরায় শুরু করা সম্ভব। বাকি পাঁচজন শ্রমিকের দেহাবশেষও উদ্ধার করা হয়েছে। এবং সেগুলি খনির ভিতর থেকে উদ্ধার করে আন♔া হয়েছে। ওই দেহাবশেষগুলি শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।’
উল𒆙্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারি এই ভয়াবহ খনি বিপর্যয়ের ঘটনাটি ঘটে। একটি বেআইনি খনি থেকে কয়লা বের করার সময় হঠাৎই সেখানে প্লাবন দেখা দেয়। এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুসারে - ভূগর্ভস্থ কোনও ঝরনা বা জলভাণ্ডার থেকেই ওই জল🦩 খনিতে ঢোকে। এবং অল্প সময়ের মধ্যেই খনিটি জলে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। শ্রমিকরা ভিতরে আটকে পড়েন।
সেই ঘটনার পর একাধিক উদ্ধারকারী দলকে কাজে লাগানো হয়। 🐲অধিকাংশ শ্রমিক প্রাণ নিয়ে বাইরে বেরোতে সমর্থ হলেও ন'জন শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাঁদের মধ্যে চারজনের দেহ উদ্ধার করা হলেও বাকি পাঁচজন এত দিন নিখোঁজ ছিলেন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা আগেই জানিয়েছিলেন, ওই পাঁচ শ্রমিকের জীবিত থাকার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল।
এদিন অবশিষ্ট পাঁচ শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার হওয়ার পর ডিমা হাসাওয়ের ডেপুটি কমিশনার সীমন্ত কুমার দাস বলেন, 'যে পাঁচজন শ্রমিক গত ৪৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছ🍬িলেন, উদ্ধারকারীরা তাঁদের সকলেরই দেহাবশেষ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছেন।'
সীমন্ত জানিয়েছেন, ওই খনির গভীরতা প্রায় ৩০০ ফুট। জলস্তর নির্দিষ্ট গভীরতা পর্যন্ত নামিয়ে আনার🍃 পরই সেখানে উদ্ধারকাজ চালাতে সক্ষম হন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় সেনা এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা - যাঁরা একত্রে এই অভিযান চালাচ্ছিলেন। বর্তমানে ওই খജনির মাত্র ১ ফুটের মতো অংশ জলে ডুবে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার।
এদিন যে পাঁচ শ্রমিকের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে (যেহেতু এখনও শনাক্তকরণ প্রক্রিয়🍰া সারা হয়নি), তাঁদের মধ্যে রয়েছেন - হুসেন আলি (৩০), জাকির হুসেন (৩৮) এবং মুস্তাফা শেখ (৪৪)। এই তিনজন অসমের দারাং জেলার বাসিন্দা ছিলে༒ন।
বাকি দু'জন হলেন (সম্ভাব্য) - কোরাঝড় জেলার বাসিন্দা সর্প বর্মন (৪꧂৬) এবং পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বাসিন্দা সঞ্জ꧅িত সরকার (৩৫)।