সম্প্রতি ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানি ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের (ডব্লিউএলএফ) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে পাকিস্তান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবারের ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এই কোম্পানির হাতে। অপারেশন সিঁদুরের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে ছিল। পাকিস্তান ভারতে হামলার চেষ্টা করলে পাকিস্তানেরই বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে ভারত হামলা চালিয়েছিল। এরই মাঝে এই ক্রিপ্টো চুক্তির বিষয়টি সামনে এল। এই চুক্তি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, ট্রাম্প কি তাঁর পরিবারের সুবিধার জন্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করলেন বলে অভিযোগ রয়েছে? (আরও পড়ুন: শত্রু শুধু পশ্চিমে নয়, এবার পূর্ব সীমান্তে ১০ ๊জঙ্গিকে খতম করল অসম রাইফেলস)
আরও পড়ুন: ভারত-পাক সংঘর্ষে মুখ পুꦇড়েছে চিনের, এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরে নয়া চ𝓀াল ড্রাগনের
আরও পড়ুন: কাশ্মীরের ত্রা🌠লে খতম ৩ জঙ্গি, রাজনাথের সꦦফরের দিনই পহেলগাঁও কাণ্ডে সাফল্য সেনার
সম্প্রতি 'পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল' এবং ডাব্লুএলএফের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল এক চুক্তি। এদিকে কাউন্সিল সম্প্রতি বিন্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা তথা বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের সিইও চ্যাংপেং ঝাওকে তার উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ করে। এই কাউন্সিলের লক্ষ্য পাকিস্তানকে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিপ্টো রাজধানী করা। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রিপ্টো কাউন্সিলের বয়স যখন মাত্র একমাস, তখনই ডাব্লুএলএফের প্রতিনিধি দলের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত হন। তাঁধের মধ্যে আছেন ট্রাম্পের গলফ বন্ধু স্টিভ উইটকফের ছেলে জ্যাকারি উইটকফ। জ্যাকারি পাকিস্তানে গিয়ে শেহবাজ এবং সেনা প্রধান মুনিরের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। এর কয়েকদিন পরই কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ভয়াবহ সেই জঙ্গি হামলা হয়। (আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র…', কিরানা হিলস জল্পনার মাঝꩵে এবার বড় দ꧟াবি রাজনাথের)
আরও পড়ুন: 🙈'একাতꩵ্তরের প্রতিশোধ' নাকি! হেরেও দেশকে 'বোকা' বানাচ্ছেন শেহবাজ শরিফ
আরও পড়ুন: কর্নেল কুরেশিকে 'সন্ত্রাস⛄ীদের বোন' বলা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ করবে BJP?
২২ শে এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পরে, পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিল এবং ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল ২৬ এপ্রিল ইসলামাবাদে⛎ একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। জানা যাচ্ছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী, পাকিস্তানে ব্লকচেইন প্রযুক্তি, স্থিতিশীল মুদ্রা গ্রহণ এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন (ডিএফআই) প্রচার করা হবে। পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই চুক্তিটিকে 'ডিজিটাল ফিনান্স বিপ্লবে পাকিস্তানকে বিশ্বব্যাপী নেতা হিসাবে গড়ে তোলার দিকে এ𝔉কটি বড় পদক্ষেপ' হিসাবে বর্ণনা করেছে। ডাব্লুএলএফের একটি প্রতিনিধি দলে জ্যাকারি ফোকম্যান, চেজ হেরো এবং জ্যাকারি উইটকফ সেই বৈঠকে ছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, উপ-প্রধানমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব ভিডিও কলের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেন, পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সিইও বিলাল বিন সাকিব, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অফ পাকিস্তানের (এসইসিপি) চেয়ারম্যান এবং স্টেট ব্যাংকের গভর্নর উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে উল্লেখ্য, দুই ছেলে এরিক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারও ডব্লিউএলএফের অংশীদার।