জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে এবং রাম মন্দির উদ্বোধনের সময় বড় সাইবার হানা রুখে দিয়েছিল ভারত। সংসদে এমনটাই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার রাজ্যসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে দেশে সাইবার হানা মোকাবেলায় যে প্রযুক্তিগত এবং আইনি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার, তা তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-'আত্মনির্ভর' সমরাস্ত্রের জন্য ২৫০০ কোটি টাকার চুক্তি ভারতের, পা কাঁপবে শত্রুদের
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'সাইবার হামলা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত এবং সচেতনতা-কেন্দ্রিক কাজ করা হয়েছে। ভারতের একটি শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা নীতি রয়েছে এবং এটি খুব সচেতনভাবে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে।' বৈষ্ণব আরও বলেন, ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এ নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য একটি পরিষেবা প্রদান করবে এবং তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) আইনের অধীনে এর ধারাগুলি আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।এছাড়াও নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা আইনে সাইবার হ্যাকারদের শাস্তির বিধান রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সাইবার কেন্দ্রিক অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার তৈরি করেছে।এই সম্পর্কে জনগণকে পরিচিত করতে আইনি, প্রযুক্তিগত এবং সচেতনতা-কেন্দ্রিক কাজ করছে কেন্দ্র।
এরপরেই সাইবার অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দেশে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন এবং রাম মন্দির উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সময় ভারত বড় সাইবার হামলা প্রতিহত করেছে। অনুসারে, ২০২৪ সালে মোট সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনার সংখ্যা ২০,৪১,৩৬০-এ পৌঁছেছে। যা ২০২৩ এবং ২০২২ সালে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ১৫,৯২,৯১৭ এবং ১৩,৯১,৪৫৭। বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বর্তমানে ভারত ৩০-৪০ থেকে প্রথম ১০-এ পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন-'আত্মনির্ভর' সমরাস্ত্রের জন্য ২৫০০ কোটি টাকার চুক্তি ভারতের, পা কাঁপবে শত্রুদের
উল্লেখ্য, ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এ অপ্রাপ্তবয়স্কদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে। ছোটদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত করায় জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে ওই তথ্য মুছে দেওয়ার দাবি জানাতে পারবেন, চাইতে পারবেন কৈফিয়তও। তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের প্রথম কাজ হল সাইবার অপরাধ রোখা। বিশেষ করে বিদেশ থেকে সময় সময় এ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সাইবার নেটওয়ার্কে যে হামলা চালানো হয়, তা রোখার পাশাপাশি যারা সাইবার অপরাধের শিকার হবেন, তাঁদের অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বেও রয়েছেন কমান্ডোরা।