শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হল অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের। তাঁর শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে গিয়েছে। সংজ্ঞাও নেই তাঁর। একইসঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসের ক্ষেত্রেও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার সমস্যা হচ্ছে। শনিবার একথা জানিয়েছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। করোনাভাইরাস পরবর্তী জটিলতার কারণে গত ২ নভেম্বর ৮৪ বছরের কংগ্রেস নেতাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। তখন থেকেই তাঁকেই নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সেক্ষেত্রে ফুসফুসে অক্সিজেন পাঠানো হলে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর হয় না। শনিবার বিকেলের দিকে তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে (পুরোপুরি যন্ত্রনির্ভর) দেওয়া হয়।প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে হাসপাতালে যান তাঁর ছেলে তথা লোকসভার সাংসদ গৌরব গগৈ। সঙ্গে ছিলেন অসমের মুখ্যসচিব জিষ্ণু বড়ুয়া। হাসপাতালে পৌঁছান কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতা। হিমন্ত জানান, শনিবার বিকেলের দিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছিল। শারীরিক অবস্থারও অবনতি হয়। চিকিৎসকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন হিমন্ত। তিনি বলেন, ‘ওষুধ এবং অন্যান্য উপায়ে তাঁর অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সচল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডায়ালিসির করার চেষ্টা করবেন চিকিৎসকরা। তবে পরবর্তী ৪৮-৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত জটিল এবং যা কিছু সম্ভব, আমরা তা করছি।’রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, নয়াদিল্লিতে এইমসের বিশষেজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই অবস্থায় তাঁকে রাজ্যের বাইরে কোথাও স্থানান্তরিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। হিমন্ত বলেন, ‘আমরা নিয়মিত পরিবারকে জানাচ্ছি এবং তাঁদের মতের ভিত্তিতেই আমরা প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।’