কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে অবসরে পাঠানোর ধীর গতির পথ বাছতে চলেছে কেন্দ্র। এদিকে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে আর🌳ও নয়া সাইট যুক্ত করার কথাও ভাব🧜ছে ভারত সরকার। এই আবহে জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে ভারতের নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না সময় মতো।
দেশে যে হারে বিদ্যুতের চাহিদা বা꧑ড়ছে, সেই দিকে নজর রেখে কর্মকর্তারা এই দশকের শেষে ৫ গিগাওয়াটেরও কম ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার কথা ভাবছে। যদিও ২০২০ সালে সিꦕদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে এই দশক শেষএ ২৫ গিগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে বন্ধ করা হবে। যদিও এই বিষয়ে প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রককে ইমেল করলেও তার জবাব পায়নি হিন্দুস্তান টাইমস।
বর্তমানে ভারতে কয়লার মাধ্যমে ২০৪ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। তবে যে নয়া ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা চলছে, তাতে এই উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে ২৫০ গিগাওয়াট হবে। যদিও বিষয়টি এখনও শীর্ষ পর্যায়ে চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। এই বিষয়ে সেন্টার ফর রিসไার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, ‘নতুন কয়লা পরিকাঠামোতে এক টাকাও বিনিয়োগ করার অর্থ ভারত তার নেট জিরো লক্ষ্য থেকে দূরে চলে যাচ্ছে।’
বর্তমানে ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৭০ শতাংশ কয়লা নির্ভর। সৌর এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি উন্নত হলেও ভারত কয়লা নির্ভরতা থেকে এখনও বের হতে পারেনি। এই আবহে বর্ষাকালে কয়লার ঘাটতি দেখা দিলে বিদ্যুতেরও ঘাটতি দেখা দেয় দেশের বিস্তীর্ণ 🐼এলাকায়। এই আবহে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ ভারত ২০৭০ সালের আগে ‘নেট জিরো’ লক্ষ্যে কোনও ভাবেই পৌঁছতে পারবে না। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০০ গিগাওয়াট স্বচ্ছ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কেন্দ্র স্থাপন করতে চান। গ্রিন হাইড্রোজেন, সৌর, জলের মাধ্যমে এই লক্ষ্যে পৌঁছতে চায় কেন্দ্র। তবে গ্যাসের দাম ক্রমেই বৃদ্ধি পাওয়া হাইড্রোপাওয়ার কেন্দ্রগুলো চালানোর প্রক্রিয়া জটিল হয়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কয়লা নির্ভরতা ত্যাগ করে সামনের দিকে তাকাতে পারছে না এখনই।
ো