চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (CPEC) নিয়ে আবারও কঠোর অবস্থান ভারতের। ভারত ব♑ৃহস্পতিবার স্পষ্টভাবে বলেছে যে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতএব, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্য দিয়ে রাস্তা তৈরির প্রকল্পে হাত লাগানো উচিত নয় অন্য কোনও দেশের।ꦫ বিদেশ মন্ত্রকের স্পষ্ট বার্তা, এটা ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিষয়।
বৃহস্পতিবার চিন পা🎃কিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিদেশ মন্ত্রক অতীতে এই বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছিল এবং বলেছিল যে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সম্পর্কিত প্রকল্পগুলিতে অন্যান্য দেশের অংশগ্রহণকে ভালো চোখে দেখছে 🐻না ভারত। সিপিইসির অধীনে এই ধরনের কর্মকাণ্ড স্বভাবতই বেআইনি, অন্যায্য এবং অগ্রহণযোগ্য।’
অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন যে প্রকল্পে যে কোনও পক্ষের যে কোনও পদক্ষেপ ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার লঙ্ঘন। তিনি বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে এই ধরনের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে আসছি। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আগও বলেছি, যে 𓆏কোনও তৃতীয় দেশ এই প্রকল্পে যোগ দেবে না, কারণ আমরা ইতিমধ্যে সতর্ক করে দিয়েছি যে এটা করলে তা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হবে।’ বাগচী বলেন, ‘আমরা যা বলতে চাই তা পুরো পরিষ্কার।’ কোনও দেশ এই প্রকল্পে যোগ দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে এখনই জল্পনা-কল্পনা করতে চাই না।’
উল্লেখ্য, শুক্ꦰরবার ডিজিটাল মাধ্যমে সিপিইসি-এর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয় সংক্রান্ত জয়েন্ট ওয়ার্ক💜িং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের অংশ হতে আগ্রহী অন্যান্য দেশগুলিকেও এতে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। ২০১৩ সালে শুরু হওয়া এই অর্থনৈতিক করিডোরটি পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরকে চিনের জিনজিয়াং অঞ্চলের কাশগরের সঙ্গে যুক্ত করতে চলেছে।