জনতা দল (ইউনাইটেড) নেতা তথা বিহারের মন্ত্রী রামসেবক সিংয়ের বিরুদ্ধে বজরং দলের কর্মী জয় বাহাদুর সিংয়ের হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার বিহারের মিরগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। জয় বাহাদুর সিংয়ের নাতি ধীরন্দ্র সিংয়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি (ষড়যন্ত্র) ও ৩০২ (খুন) ধারায় এই ꦫমামলা দায়ের করা হয়েছে।
মীরগঞ্জ থানার আধিকারিক শশী রঞ্জন জানান, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ধীরেন্দ্র সিংয়ের অভিযোগ, শাসকদলের পক্ষে ভোট–প্রচারের বিরোধীতা করার দায়ে ষড়যন্ত্র করে মন্ত্রী তাঁর দাদুকে খুন করিয়েছেন। বাইকে করে এসে দুই দুষ্কৃতী বজরং দলেꦐর কর্মী জয় বাহাদুর সিংকে খুন করে।
এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জয় বাহাদুর সিংয়ের পরিবার ও তাঁর অনুগামীরা হাসপাতালে ভাঙচুর, বিভি♎ন্ন রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি পুলিশের একটি গাড়ির ওপর ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পর প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে চলে এই তাণ্ডবলীলা। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুট💃ে যান গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মনোজ তিওয়ারি। ক্ষুব্ধ জনতাকে আশ্বস্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠান তিনি।
এ ব্যাপারে রামসেবক সিং জানান যে তিনি জয় বাহাদুর সিংকে চিনতেন, কিন্তু তাঁর খুনের ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন বলেই জানিয়েছেন ওই মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছে করেই এই ঘটনার সঙ্গ🌸ে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। আর এর পেছনেꦉ রয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। আরজেডি–র চাপেই আমার নামে অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার।’
পুলিশ সুপার মনোজ তিওয়ারি জানান, মন্ত্রী রামসেবক সিং ছাড়াও এ ঘটনায় আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃ🅠ত জয় বাহাদুর সিংয়ের নাতি ধীরেন্দ্র সিং। তবে এর পাশাপাশি এ ঘটনার পিছনে তোলাবাজি নিয়ে ঝামেলা বা জমি বিবাদের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।