ধর্ষকদের গণপিটুনির বিষয়ে জয়া বচ্চনকে সমর্থন করে বিতর্কের মুখে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পরে অবশ্য দাবি করেন, তিনি গণপিটুনিকে সমর্থন করেননি। বরং কঠোর আইন প্রণয়নের বলতে চেয়েছিলেন তিনি।হায়দরাবাদে এক পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গতকাল উত্তাল হয় সংসদের উভয়কক্ষ। সেই সময় সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সদস্য জয়া বচ্চন বলেন, "ধর্ষণে অভিযুক্তদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা উচিত।" তাঁকে সমর্থন জানান মিমি। সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, "তাঁর (জয়া বচ্চন) সঙ্গে আমি একমত। আমার মনে হয় না, সুরক্ষা দিয়ে ধর্ষকদের আদালতে নিয়ে গিয়ে বিচারের প্রয়োজন আছে। সঙ্গে সঙ্গে শাস্তির বিধান প্রয়োজন।" কী কারণে তিনি এই সওয়াল করছেন, তাও ব্যাখ্যা করেন যাদবপুরের সাংসদ। তিনি বলেন, "ধর্ষকদের শাস্তি দিতে অনেক সময় নেওয়া হয়। সেই সময় নির্যাতিতার বাবা-মা'র খুব খারাপ লাগে। ভেঙে পড়েন তাঁরা। তাই যত দ্রুত সম্ভব শাস্তি দেওয়ার প্রয়োজন আছে।"তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে কেন গণপিটুনির মতো বিষয়কে সমর্থন করবেন, তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন মিমি। পরে একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, "জয়া বচ্চনের সঙ্গে আমি একমত। আমি যেটা বলতে চেয়েছিলাম, তা গণপিটুনির ভিত্তিতে নয়, শাস্তি দেওয়ার ভিত্তিতে। কঠোরতম আইন প্রণয়নের বিষয়ে বলতে চেয়েছিলাম আমি।" সেই সংক্রান্ত একটি টুইটও রিটুইট করেন তিনি।ধর্ষণ রুখতে কঠোর আইন তৈরিরও দাবি জানান মিমি। তাঁর কথায়, "সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রীদের কাছে আমার অনুরোধ, এমনই কঠোর আইন তৈরি করুন যে ধর্ষণ কী, মহিলাদের দিকে কু-মতলবে তাকানোর আগেও ১০০ বার ভাবতে বাধ্য হবে তারা।"