বিগত দিনে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের থেকে শুরু করে সীমান্তে অনুপ্রবেশ এবং কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে ঝামেলা। এদিকে শেখ সিনা পরবর্তী সময়ে মৌলবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে বাংলাদেশে। এই আবহে সেখানে ভারত বিদ্বেষের হাওয়া যেন প্রবল হয়েছিল। তবে এরই মাঝে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস দাবি করলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনও অবনতি ঘটেনি। বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এহেন দাবি করেছেন ইউনুস। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনার প্রশংসায় অমর্ত্য সেন, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে জানালেন মতামত)
আরও পড়ুন: রোহিত বিতর্কে 'হিটউইকেট' কংগ্রেস, ভারত অধিনায়ককে নেত্রীর 'অপমান' নিয়ে দল বলল…
আগামী ৩-৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমস্টেক সম্মেলনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলদেশের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সেই সময় মোদী-ইউনুস মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এর আগে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই নিউইয়র্কে একই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউনুস এবং মোদী। তবে মোদী এবং ইউনুস মুখোমুখি হননি। এই ইউনুসই প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগে উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে দিল্লিকে 'হুঁশিয়ারি' দিয়েছিলেন। আবার সম্প্রতি তিনি উত্তরপূর্ব ভারতের সঙ্গে উন্মুক্ত অর্থনীতির কথা বলেছিলেন। তাঁর 'ডান হাত' হিসেবে পরিচিত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপূর্ব ভারত নিয়ে 'বৃহত্তর বাংলাদেশের মানচিত্র' পোস্ট করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। তবে পরে তা চাপে পড়ে মুছে ফেলেছিলেন। এদিকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কাঁটাতার বসাতে গেলেও বিজিবি বাধা দিচ্ছে বিএসএফকে। আবার অনুপ্রবেশকারীদের গুলি করলেও আপত্তি জানাচ্ছে ঢাকা। তবে এত কিছুর মাঝেও ইউনুস আজকে দাবি করলেন, ভারতের সঙ্গে 'অল ইজ ওয়েল'। (আরও পড়ুন: ‘মোটা’ রোহিত শর্মাকে ‘বিমার’ কংগ্রেস নেত্রীর, ফ্রি হিটে ছক্কা হাঁকাতে চাইছে BJP)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এবার কোটা বিরোধীরাই কোটার সুবিধা ভোগ করবেন!
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হিন্দুদের ওপর হামলায় 'ধর্মনিরেপক্ষ' ইউনুসের ঘাড়ে দায় চাপালেন অমর্ত্য
আজকে বিবিসির সাক্ষাৎকারে ইউনুস বলেন, 'বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক খুবই ভালো। আমাদের সম্পর্কের কোনও অবনতি হয়নি। আমাদের সম্পর্ক সব সময় ভালো থাকবে। এখনও ভালো আছে, ভবিষ্যতেও ভালো থাকবে। বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো না থেকে উপায় নেই। আমাদের সম্পর্ক এত ঘনিষ্ঠ, আমাদের পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি। ঐতিহাসিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সেটার থেকে আমরা সরে আসতে পারব না। তবে মাঝখানে কিছু কিছু মেঘ দেখা দিয়েছে। তা অপপ্রচারের কারণে এসেছে। এই অপপ্রচার কোন শত্রুরা করছে, সেটা বিচার করতে হবে। কিন্তু এই অপপ্রচারের ফলে আমাদের সঙ্গে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ভারতের। সেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে আমরা বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। ভারত সরকারের সঙ্গে আমাদের সব সময় যোগাযোগ হচ্ছে। তারা এখানে আসছে, আমাদের লোকজন সেখানে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আমার প্রথমেই কথা হয়ে গিয়েছে।'