দিল্লিতে শুরু হল এনডিএ-র সংসদীয় দলের বৈঠক। নরেন্দ্র মোদীকে তাদের নেতা নির্বাচিত করার জন্য জোটের নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতারা আজ একত্রিত হয়েছেন সংসদ ভবনে। এর আগে অবশ্য বৃহস্পতিবার থেকেই দর কষাকষি শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি এবং শরিক দলগুলির। এমনিতে ভোটের ফল প্রকাশের পরে বুধবার এনডিএ-র সকল শরিক দল মিলিত হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিতে জেডিইউর তরফ থেকে দাবি করা হয়, যদি অগ্নিবীর প্রকল্পে সেনা ভরতির বিষয়টি নিয়ে সরকার পুনর্বিবেচনা করে তাহলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং 'এক দেশ, এক ভোট' ইস্যুতে বিজেপিকে পূর্ণ সমর্থন করবে। এছাড়া নীতীশ এবং চিরাগের সম্মিলিত দাবি, বিহারকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেওয়া হোক। ওদিকে চন্দ্রবাবু নাইডুও অন্ধ্রের জন্য একাধিক দাবি সামনে রেখেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্ধ্রের পিছিয়ে পড়া ৭ জেলার জন্যে তিনি বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন, অন্ধ্রের জন্য বিশেষ মর্যাদাবা, বিজওয়াড়া মেট্রোর জন্য ৫০ শতাংশ অর্থসাহায্য। (আরও পড়ুন: TMC থেকে কলকাতার ৪০টি ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিল বিরোধীরা! গেরুয়াম🔜য় নিউটাউন)
আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি হল, চরম🌳 ভোগান্তির চিত্র শিয়ালদায়, বিভ্রান্ত লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা
আরও পড়ুন: বদল অঙ্কে,২৪-র নিরিখে ২১-র থেকে কম ব👍িধানসভায় এগিয়ে TMC! বাড়ল BJP, খা🃏তা খুলল বাম
এদিকে শুধু নীতিগত দাবি নয়। শরিকদের বিভিন্ন মন্ত্রক পাওয়ার চাহিদাও আছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, টিডিপি নিজেদের জন্য ৫টি মন্ত্রী পদ এবং জনসেনার জন্য ২টি চেয়ে বসে আছে। এদিকে জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি একটি ক্যাবিনেট পদের দাবি জানিয়েছে। এদিকে নীতীশের জেডিইউ পাঁচটি মন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছে। চিরাগ একটি ক্যাবিনেট পদের দাবি জানিয়েছেন। ওদিকে একনাথ শিন্ডে একটি ক্যাবিনেট এবং একটি প্রতিমন্ত্রী পদের দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে রেল মন্ত্রক চেয়েছেন নীতীশ। এদিকে এলজেপি-র নেতা চিরাগ পাসওয়ানও রেলমন্ত্রীর পদ দাবি করেছেন বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ভোটের পর বড় ঘোষণা RBI-এর,🦋 ঋণগ্🎃রহীতারা EMI নিয়ে পাবেন কোনও স্বস্তি?)
আরও পড়ুন: শিয়ালদায় লোকাল যাত্রীদে𝓀র চর🐷ম দুর্ভোগ, বিশেষ বাস চালু শহরতলিতে
এদিকে এবারের লোকসভা নির্বাচনে গত সরকারের ১৯ জন মন্ত্রী হেরেছেন। তাঁদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি সহ ৪ জন ক্যাবিনেট ব়্যঙ্কের। এদিকে এবারের ভোটে একক সংখ্যা𓂃গরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সরকার টিকিয়ে রাখতে তাই জোটসঙ্গীদের ওপর নির্ভর করে থাকতেই হবে বিজেপিকে। এহেন পরিস্থিতিতে মন্ত্রীপদের দাবি নিয়ে চাপ বাড়াতে পারে টিডিপি এবং জেডিইউ-র মতো দলগুলি। সরকার বাঁচাতে সেই সব দাবির অধিকাংশ মেনে নিয়ে আপসও করতে পারে বিজেপি। আর তাই এবার মোদী🍎 ৩.০ সরকারের ক্যাবিনেটের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে আরও বাড়বে তাপমাত্র🐠া, অস্বস্তিকরꦓ গরমের মধ্যে কলকাতায় কবে কবে বৃষ্টি?
গতবার মোদী ২.০ সরকারে সর্বোচ্চ ৮১ জন মন্ত্রী রাখা যেত। তবে সব মিলিয়ে মন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৭১। এছাড়া অনেক মন্ত্রককে মিশিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তবে নয়া সমীকরণে সেই সব কথাবার্তা বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি এবার হয়ত জোটসঙ্গীদের মন রাখতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মন্ত্রীকেই জায়গা করে দিতে হবে মোদীকে। এই আবহে মোদী ৩.০-র ক্যাবিনেটের চিত্র আগেরবারের তুলনায় পুরোপুরি বদলে ✅যেতে পারে।