আরও কাছাকাছি। বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নতুন একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন বিষয়ে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
সেখানে লেখা হয়েছে, ক) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানের সঙ্গে বিদ্যায়তনিক, গবেষণামূলক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াকেন্দ্রিক সকল প্রকার যোগাযোগ ছিন্ন করা সংক্রান্ত ১৪.১২.২০১৫ সালের সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত ১৩.১১.২০২৪ তারিখের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাতিল করা হল।
খ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে পূর্বের মতো পাকিস্তানের পারস্পরিক প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন এবং একাডেমিক ও গবেষণা কার্যক্রম চালু করা হল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার( ভারপ্রাপ্ত) মুনসি শামস উদ্দিন আহম্মদের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে একথা উল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থাৎ আগের সেই সম্পর্ক ছিন্ন করার বিজ্ঞপ্তি বা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পুরো বাতিল। এবার পাকিস্তানের সঙ্গে অ্যাকাডেমিক ও গবেষণামূলক কার্যক্রম ফের চালু করা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
কার্যত ২০১৫ সালের তৎকালীন সিন্ডিকেট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ১৮ই ডিসেম্বর স্বাক্ষর করা সেই নির্দেশিকা সামনে এসেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, আদিষ্ট হয়ে এত দ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে সিন্ডিকেটের ১৩.১১.২০২৪ তারিখের সভায় পাকিস্তানের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যে পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য় একদিন গর্জে উঠেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা সেই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করার জন্য় ইউনুস জমানায় আবার নতুন উদ্যোগ। তবে কি ১৯৭১ সালের সেই স্মৃতি ভুলে গেল বাংলাদেশ?
এর আগে একাধিক সংবাদমাধ্য়মের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, ইসলামাবাদে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকার ঢাকার উপরাষ্ট্রদূত মাহবুব উল আলম। তিনি দাবি করেছিলেন, সরাসরি এই বিমান পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের ব্যবসায়িক দিক থেকে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হবে। যা দুই দেশের জন্যই লাভদায়ক।
পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউনে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই বিমান সফর খুব শিঘ্রই চালু হবে। এই বিমান পরিষেবা চালু হলে দুই দেশের বাণিজ্যিক ক্ষেত্র উন্নত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও খবর।