দেশ স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ সালে। কিন্তু, উত্তরপ্রদেশে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে স্বাধীন হওয়ার ৭ দশকের মধ্যেও মাধ্যমিক পাশ করতে পারেনি কোনও পড়ুয়া। বছরের পর বছর ধরে এই গ্রামে মাধ্যমিকে ফেল করাটা যেন প্রথা হয়ে উঠেছিল। দীর্ঘদিনের সেই প্রথা ভেঙে ৭৮ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও পড়ুয়া ওই গ্রাম থেকে মাধ্যমিকে পাশ করল। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। উত্তর প্রদেশের এই গ💞্রামটি অবস্থিত বারাবাঁকি জেলার রামসনেহি ঘাটে। গ্রামের নাম নিজামপুর। মাধ্যমিকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছജে রামকেওয়াল। তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়া। ওই ছাত্র মাধ্যমিকে পাশ করার পরেই খুশির হাওয়া গ্রামে। উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ছাত্রকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: সব প্রতিকূলতা পার করে HSC পাশ একই স্কুলের ৯ ঘরছা꧑ড়া ট🍬্রান্সজেন্ডার পরিক্ষার্থীর
এবিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক ও পি ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, রামসনেহি ঘাট থানা এলাকার বাণীকোন্দর ব্লকের নিজামপুর গ্রামের ১৫ বছর বয়সি ছাত্র রামকেওয়াল ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে মাধ্যমিকে। উত্তরপ্রদেশ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা𝓡য় উত্তীর্ণ হয়েছে সে। ত্রিপাঠী বলেন, তার এই সাফল্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।💟 কারণ ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর থেকে এই গ্রামের কোনও ছাত্র মাধ্যমিকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। ফলে রামকেওয়াল মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়ে গ্রামের ইতিহাসে নিজের নাম নথিভুক্ত করল।
জানা যাচ্ছে, এᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚই গ্রামের জনসংখ্যা হল ৩০০ জন। গ্রামের প্রায় সকলেই দলিত সম্প্রদায়ের। শিক্ষার ক্ষেত্রে খুবই পিছিয়ে গ্রামটি। ꦬফলে রামকেওয়ালের সাফল্য গ্রামবাসীদের অনুপ্রেরণা যোগাবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। তার এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিতে গত ৩ মে জেলা শাসক শশাঙ্ক ত্রিপাঠী রামকেওয়াল এবং তার বাবা-মাকে জেলা সদর দফতরে ডেকে সম্মান জানান।

উচ্চ মাধ্যমিকে🙈র রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক💮 করুন এই লিংকে
স্বাভাবিক🌜ভাবেই এই সাফল্যে খুশি রামকেওয়াল এবং তার পরিবার। পিটিআইকে রামকেওয়াল জানান, ছোটবেলা থেকেই সে পড়াশোনায় আগ্রহী। কিন্তু, দারিদ্র্যের কারণে তাকে অনেক কষ্টে পড়াশোনা করতে হয়েছে। কঠোর পরিশ্রম করে আয় করে সেই টাকা দিয়ে সে বই কিনে পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলের ফি মেটাত। রামকেওয়াল জানায়, তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। ফলে তাকে পরিবারের খরচের বোঝা বহন করতে হয়। সে বিয়ের অনুষ্ঠানে আলো জ্বালানোর কাজ করে। তবে যখন বিয়ের মরশুম থাকে না, তখন বাবার সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করে। এখন তার স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। আগামী দিনে তার পড়াশোনার জন্য জেলা শাসক তার পড়াশোনার খরচ মুকুব করার কথা ঘোষণা করেছেন।
রামকেওয়ালের বাবা জগদীশ শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং তার মা পুষ্পা একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাঁধুনির কাজ করেন।রামকেওয়ালের সাফল্যে গ্রামের মানুষ খুবই খুশি। তাঁদের আশা🙈, আগামী দিনে গ্রামের আরও পড়ুয়া তাকে দেখে উৎসাহিত হবে এবং সাফল্য পাবে।