হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংঘাত আরও তীব্রতর হল। এবার মার্কিন প্রশাসন ঘোষণা করেছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে আর কোন গবেষণার জন্য সরকারি অনুদান পাবে না। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হার্ভার্ড-সহ বেশ কয়েকটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সংঘাত চলছে। সরকারের দাবি, এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ কর্মকাণ্ডে ইন্ধন দিয়েছে। এই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বাজেট, কর, সুবিধা এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তির ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: সামনে এল দেশের প্রধান বিচারপতির 🌸সম্পত্তির খতিয়ান,ব্যাঙ্কে কত টাকা আছে তাঁর নামে?)
আরও পড়ুন: বদলাচ𒈔্ছে সমীকরণ? ভারতের এককালের বন্ধুর সঙ্গে বৈঠকে প𝓀াক সেনা প্রধান অসিম মুনির
আরও পড়ুন: সিন্ধু চুক্তি নিয়ে ন🦩𒆙য়া পদক্ষেপের পথে ভারত, বড় বার্তা দিতে পারে বিশ্বব্যাঙ্ককে
সোমবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বারকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন বলেন, 'হার্ভার্ড উচ্চশিক্ষার সাথে তামাশা করেছে। তাই তারা আর কোন সরকারি অনুদানের আবেদন করতে পারবে না, কারণ কিছুই দেওয়া হবে না।' চিঠিতে তিনি আরও বলেন, 'হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় আর সরকারি তহবিলপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে না, বরং এটি একটি বেসরকারিভাবে অর্থায়িত প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হবে, যার বিশাল অঙ্গীকার এবং প্রাক্তন ছাত্রদের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে।' (আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানে নয়', ভারত হামলা করবে... বꦅড় দাবি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর)
আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনা বৃদ্ধির মাঝে 'টপকে পড়ল' বাংলাদেশ, কী কথা হল ঢাকা-ইসলা🙈মাবাদের?
উচ্চ মাধ্꧟যꦜমিকের রেজাল্ট জানার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে
এর আগে মার্কিন প্রশাসনের নয়া নীতির বিরোধিতা করায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২০ কোটি ডলারের সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক কোটি টাকার একটি চুক্তিও স্থগিত রাখা হয়।বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় নিয়মিত স্থান পাওয়া হার্ভার্ড সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের রোষানলে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ভর্তি প্রক্রিয়া, নিয়োগ এবং রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর সরকারি নজরদারি মানতে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই টানাপোড়েন শুরু হয়। এটি স্থগিত করার পর, ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের কাছে বেশ কিছু দাবি তুলেছিল, যার মধ্যে ছিল বাহ্যিক পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের মধ্যে দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা যায়, যা হার্ভার্ড খারিজ করে দিয়েছিল কারণ তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর অতিরিক্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ আরোপ করত। (আরও পড়ুন: 🎐পাক𒊎িস্তানের আগে দেশের ভিতরে '০.৫ ফ্রন্টে' লড়বে মোদী সরকার?)
আরও পড়ুন: 'বাম যোগে' একদিনে ৪৭২০০ কো🐷টি বাড🦩়ল আদানির সম্পত্তি! এখন তাঁর 'নেট ওয়ার্থ' কত?
এদিকে অনুদান বন্ধের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, 'আজকের চিঠিটি হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে নতুন হুমকি তৈরি করেছে, যা গবেষণা এবং উদ্ভাবনের জন্য জরুরি তহবিল অবৈধভাবে আটকানোর চেষ্টা করছে, শুধুমাত্র ২১ এপ্রিল আমাদের মামলা দায়ের করার প্রতিশোধ হিসেবে।হার্ভার্ড আইন মেনে চলতে থাকবে, দৃষ্টিভঙ্গির বৈচিত্র্যকে শ্রদ্ধা করবে এবং আমাদের সমাজ ইহুদি বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। হার্ভার্ড সরকারী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে, যাতে তা আমাদের গবেষণা ও উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত না করতে পারে, যা আমেরিকানদের জন্য নিরাপদ এবং সুরক্ষিত।' অন্যদিকে, হার্ভার্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্বার বলেছেন, কিছু শিক্ষার্থীকে তাদের পরিচয় বা বিশ্বাসের কারণে ক্যাম্পাস জীবনের বাইরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রতিষ্ঠিতা করার চেষ্টা করবেন। (আরও পড়ুন: পাক পীড়াপীড়িতে ডাকা হয় UNSC-র রুদ্ধদার বৈঠক♐, আলোচনায় মুখ কাল🦂ো জঙ্গি রাষ্ট্রেরই)
আরও পড়ুন: গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখোমুখি মোদী-রাহুল গান্ধী, সহমত হতে পারলেন ন⛎া 💝দুই নেতা
উল্লেখ্য, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে একের পর এক আদেশনামা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেমনই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপরও প্রভাব বিস্তার করতে চাইছেন তিনি। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ডের সংঘাতের মূল কারণ ইজরায়েল-হামাস য𝔉ুদ্ধ পরিস্থিতি। সম্প্রতি ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ আবহে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরপরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ইহুদি-বিদ্বেষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে মার্কিন প্রশাসন। একই সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঠিক পদক্ষেপ করছেন না বলেও অভিযোগ ট্রাম্পের। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিদ্বেষ বন্ধ করার জন্য কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। কিন্তু সরকারের দেওয়া শর্তা মানতে নারꩵাজ হার্ভার্ড। আর তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর কোপ পড়েছে ট্রাম্পের।