'অপারেশন সিঁদুর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর মৌনতার কারণ কী?' ফের এমনই প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ভারত ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিরোধের মীমাংসা করেছেন তিনিই। বুধবার ফের এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, তাঁরই মধ্যস্থতায় ‘বাণিজ্যের মাধ্যমে’ ভারত-পাক বিরোধের অবসান ঘটেছে। এরপরেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিরতির পরেই রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী! বাংলার প্রথম অমৃত ভারত স্টেশন উদ্বোধন
বৃহস্পতিবার এক্স বার্তায় কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, এই নিয়ে অষ্টমবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করলেন যে তাঁর জন্য অপারেশন সিঁদুর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন যে, ভারতকে অপারেশন সিন্দুর বন্ধ করাতে বাণিজ্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী একবারের জন্যও এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেননি। এই নীরবতার অর্থ কী?' এর আগেও সংঘর্ষবিরতি থেকে শুরু করে বাণিজ্য, এমনকী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়া-সহ একাধিক দাবি করেছেন ট্রাম্প। প্রতিটা বিষয় ধরে ধরে মোদীর জবাব চেয়েছিল কংগ্রেস।
বুধবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠক চলছিল ট্রাম্পের। সেখানেই ফের ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব দাবি করেন তিনি। বলেন, 'ভারত ও পাকিস্তানের ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা যদি দেখেন...আমরা গোটা বিষয়টির সমাধান বের করেছি। আমার বিশ্বাস, ব্যবসার মাধ্যমেই সমাধান বের করা গিয়েছে। আমরা ভারতের সঙ্গে বড় চুক্তি করতে চলেছি। বড় চুক্তি করতে চলেছি পাকিস্তানের সঙ্গেও। কী যে হচ্ছিল! শেষ কথা কাউকে না কাউকে বলতেই হত। পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল ক্রম, সংকট গভীর হচ্ছিল। পাকিস্তানে কিছু চমৎকার মানুষ আছেন, কিছু ভালো নেতা আছেন এবং ভারত আমার বন্ধু, মোদী আমার বন্ধু। দু'পক্ষের সঙ্গেই কথা বলি আমি।' ট্রাম্পের কথায় সায় দিতে দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টকেও। মোদী যে তাঁদের দু’জনেরই ‘বন্ধু’, সে কথা একবাক্যে স্বীকার করে নেন সিরিলও।
আরও পড়ুন-যুদ্ধবিরতির পরেই রাজস্থানে প্রধানমন্ত্রী! বাংলার প্রথম অমৃত ভারত স্টেশন উদ্বোধন
শুধু ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি নয়, কাশ্মীর নিয়েও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই প্রসঙ্গে অবশ্য বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, 'কাশ্মীর নিয়ে এখনও একই অবস্থান ভারতের। কাশ্মীর ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু। এ বিষয়ে তৃতীয় কোনও শক্তির মধ্যস্থতা সহ্য করবে না নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের সঙ্গে একমাত্র একটি ইস্যুতেই কথা হতে পারে-পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফেরানো। অন্য কোনও বিষয়ে নয়।'