সেঞ্চুরি পার করেছিলেন অনেকদিন আগেই। ১১৯এই থমকে গেল ইনিংস। তবে সেই বৃদ্ধের মৃত্যুতে একেবারে ডিজে বাজিয়ে নাচলেন নাতি নাতনিরা। শেষ যাত্রায় রীতিমতো চলল নাচাগানা। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার কুমড়া পঞ্চায়েতের বারুইপাড়া এলাকার ঘটনা।
বৃদ্ধ দেবেন হাজরার মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ১১৯ বছর। পাড়ার অনেকের কাছেই সাধু দাদু বলেই পরিচিত ছিলেন তিনি। কারোর কাছে তিনি যাত্রা দাদু নামে পরিচিত। তাঁর মৃত্যুতে চোখে জল অনেকের। তবে সেই সঙ্গেই দাদুকে শেষ বিদায়ে বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছাকে সম্মান জানালেন পরিজনরা।
তাঁর সমসাময়িক অনেকেই চলে গিয়েছেন আগেই। তবে থেকে গিয়েছিলেন দেবেন হাজরা। সকলের নয়নের মণি ছিলেন তিনি। একেবারে সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতেন তিনি। পরিবারের গন্ডি ছাড়িয়ে গ্রামের লোকজনও ভালোবাসতেন তাঁকে। সেই বৃদ্ধের মৃত্যুতে একেবারে ডিজে বাজিয়ে শেষযাত্রায় পরিজনরা। পাড়ার লোকজনও কোমর দোলালেন ডিজের তালে।
পরিজনরা জানিয়েছেন, অভিনয় করতে ভালোবাসতেন দেবেন হাজরা। সকলকে নিয়ে চলতেন। পাড়ার লোকজনকে অভিনয় শেখাতেন। যাত্রা অন্ত প্রাণ ছিল তাঁর। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় যাত্রা করতে যেতেন তিনি। তাঁর শেষযাত্রায় ডিজে বাজালেন পরিজনরা। সেই অভিনব শেষযাত্রা দেখতে রাস্তার পাশে ভিড় করেন বাসিন্দারা।