বৃষ্টি হয়েছিল দু’দিন আগে। তবে ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জমা জল থৈথৈ অবস্থা হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দু’দিন পেরিয়ে গেলেও হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় জমা জল নামেনি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।এমনই অবস্থা হয়ে রয়েছে হাওড়ার টিকিয়াপাড়া, সালকিয়া, ঘুসুড়ি থেকে শুরু করে রামরাজাতলা, লিচু বাগান পর্যন্ত। মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার অলিগলিতে কোথাও হাঁটু অব্দি জল আবার কোথাও বৃষ্টির জল বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়েছে। এই অবস্থাতেই দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। জমা জলে বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জমা জলের কারণে বহু রাস্তায় খোলা তার পড়ে থাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, জল নিকাশি জন্য কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। ফলে, প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকে এই সমস্ত এলাকায়। সেকারণে জলমগ্ন অবস্থাতেই দিন কাটাতে হচ্ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের।নজিরগঞ্জের এক বাসিন্দা জানান, এমনিতেই করোনা আবহে ভয়ানক পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে। তার উপর জমা জলের ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর মধ্যেই বসবাস করতে বাধ্য হতে হচ্ছে আমাদের। কারণ, এখন এই এলাকায় কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। সেজন্য কোনও কাজই হয় না।অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার জমা জলের সমস্যা নিয়ে হাওড়া পুরসভা প্রশাসকমন্ডলী বৈঠকে বসেন। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের নর্দমা থেকে পলি তোলার পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে প্রশাসকমন্ডীর চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, ‘ জল নিকাশি ব্যবস্থা সংস্কার করতে উদ্যোগ নিয়েছে পুরসভা। একইসঙ্গে হাওড়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে অতিরিক্ত পাম্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেগুলো বিভিন্ন এলাকায় বসানোর কাজ শুরু হবে।’