বুক সমান জমা জলে পা হড়কে পড়ে গিয়েছিলেন। আর উঠতে পারেননি তিনি। জমা জলে ডুবেই মৃত্যু হল বৃদ্ধার। পরে জলে তাঁর দেহ ভেসে উঠেতেই নজরে আসে সকলের। সোমবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামের পাটুলি-শিবতলা এলাকায়। মধ্যমগ্রাম থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিশ পৌঁছে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কালী মণ্ডল (৬৫)। পায়ে সমস্যা থাকায় হাঁটতে-চলতে অসুবিধা হত তাঁর। মৃত ওই বৃদ্ধার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ পাড়া থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন কালীদেবী। কিন্তু অনেক্ষণ ধরে তিনি না ফেরায় বাড়ির লোকেরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। দুপুরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পাড়ার মধ্যেই জমা জলে ওই বৃদ্ধার দেহ ভাসতে দেখেন।পরিবারের ধারণা, বাড়ির সামনে বুক পর্যন্ত জমা জলে কোনওভাবে পা পিছলে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু আর উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে কালীদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকা অত্যন্ত নীচু হওয়ায় ফি বছর ভারী বৃষ্টিতে জল জমে যায়। কার্যত এক একটি বাড়ি তখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। বারবার এই নিয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি।মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই সমস্যার সমাধান আমরাও করতে চাই। ওই এলাকার পাশেই বাণীকণ্ঠ খাল রয়েছে। ওই খাল সংস্কারের বিষয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওখানে একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে চাই। কিন্তু খাল সংস্কার না হলে, তা করেও কোনও সুবিধা হবে না।’ পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে আমাদের ধারণা, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।’ মৃত ওই বৃদ্ধার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ১২টা নাগাদ পাড়া থেকে জল আনতে গিয়েছিলেন কালীদেবী। কিন্তু অনেক্ষণ ধরে তিনি না ফেরায়, বাড়ির লোকেরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। দুপুরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পাড়ার মধ্যেই জমা জলে ওই বৃদ্ধার দেহ ভাসতে দেখেন।পরিবারের ধারণা, বাড়ির সামনে বুক পর্যন্ত জমা জলে কোনওভাবে পা পিছলে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু আর উঠতে পারেননি। মঙ্গলবার রাতে কালীদেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।ঘটনার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকা অত্যান্ত নীচু হওয়ায়, ফি বছর ভারী বৃষ্টিতে এতটাই জল জমে যে, একটি বাড়ি থেকে বেরতে হলে কোথাও বুক তো কোথাও গলা পর্যন্ত জল ঠেলে বের হতে হয়। কার্যত এক একটি বাড়ি তখন বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয়। বারবার এই নিয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি।মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই সমস্যার সমাধান আমরাও করতে চাই। ওই এলাকার পাশেই বাণীকণ্ঠ খাল রয়েছে। ওই খাল সংস্কারের বিষয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা হয়েছে। ওখানে একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরি করতে চাই। কিন্তু খাল সংস্কার না হলে, তা করেও কোনও সুবিধা হবে না।’|#+|