আরজি করের পর মুর্শিদাবাদের উমরপুর। ফের বেলাগাম তাণ্ডবকারীদের প্রতিরোধ করার বদলে প্রাণভয়ে আত্মগোপন করার অভিযোগ উঠল পুলিশে বিরুদ্ধে। জঙ্গিপুরের উমরপুরের মঙ্গলবারের তাণ্ডবের সময় পুলিশকর্মীরা একটি দোকানের ভিতরে ঢুকে শাটার টেনে দেন বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে সেই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে সংবাদমাধ্যমের হাতে। তাতে দেখা যাচ্ছে দোকানের ভিতরে হেলমেট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন উর্দিধারী পুলিশকর্মীরা।মঙ্গলবার ওয়াকফ সংশোধনী আইন বলবতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলে মুর্শিদাবাদের উমরপুরে। CAA বিরোধী আন্দোলনের নামে তাণ্ডবের ধাঁচে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে নির্বিচারে সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের সদস্যরা। প্রতিরোধ করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২ জন পুলিশকর্মী। পোড়ানো হয়েছে ২টি পুলিশের গাড়ি। ভাঙচুর করা হয়েছে ৬টি। অভিযোগ, তাণ্ডবকারীরা প্রথমে ভাঙচুর শুরু করলেও পুলিশ নির্বিকার ছিল। পরে যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন ময়দানে নামে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি চালায়। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করে আন্দোলনকারীরা।এরই মধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। উমরপুরে জাতীয় সড়কের পাশের ওই দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দোকানের ভিতর হেলমেট পরে ঘোরাফেরা করছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। দোকান মালিকের দাবি, গন্ডগোলের সময় দোকানে ঢুকে পড়ে পুলিশ। এর পর শাটার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তাঁরা। বাইরে যখন তাণ্ডবকারীরা নির্বিচারে ভাঙচুর চালাচ্ছে তখন দোকানের ভিতরেই লুকিয়ে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। অভিযোগ মঙ্গলবার বিকেলে তাণ্ডবকারীদের ভয়ে এরকম বেশ কয়েকটা দোকান ও বাড়ির ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। এর আগে গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে বহিরাগত তাণ্ডবের সময় পুরুষ পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলা নার্সদের শাড়ি পরে শৌচাগারে লুকানোর অভিযোগ উঠেছিল। এক নার্স জানিয়েছিলেন, ওই রাতে হাসপাতালে যখন তাণ্ডব চলছে তখন পুলিশকর্মীরা এসে তাঁর কাছে বাড়ি থেকে পরে আসা পোশাক চান। সেই পোশাক পরে পুলিশকর্মীরা মহিলাদের শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন। মুর্শিদাবাদেও দুর্বৃত্তদের তাণ্ডবের মুখে একই রকম অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে।