গৃহবধূর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক উপ-প্রধানের ছেলের। কিন্তু, তাঁদের সেই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন গৃহবধূর স্বামী। সেই ক্ষোভে ওই মহিলার স্বামীর উপর হামলা চালালেন উপ-প্রধানের ছেলে। তাঁর চোখ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন গৃহবধূর স্বামী। এমনই অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা ব্লকের তারাবেড়িয়া পঞ্চায়েতের রাউতারা এলাকায়। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই ঘটনায় উপ-প্রধানের অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক–অন্তরঙ্গের ভিডিয়ো ভাইরাল, গা–ঢাকা মহিলা পঞ্চায়েত প্রধান
দাবি করা হয়েছে, উপ-প্রধান ওমর আলির অভিযুক্ত ছেলের নাম আরিফ আলি। তাঁর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী মশিয়ার রহমানের স্ত্রী। এলাকায় এ বিষয়টি জানাজানি হতে দেরি হয়নি। জানা যায়, সম্প্রতি মশিয়ারের স্ত্রীকে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকদিন এক সঙ্গে কাটান আরিফ। ফলে এ নিয়ে উপ-প্রধানের ছেলের সঙ্গে মশিয়ারের বিবাদ বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল। মঙ্গলবার সেই বিবাদ চরমে পৌঁছয়। রাতে বাড়ি ফিরছিলেন মশিয়ার। সেইসময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালান তৃণমূল উপ-প্রধানের ছেলে। মশিয়ারের চোখের কাছে গুলি লাগে। ঘটনায় সঙ্গে-সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। গুলি চালানোর পরে আরিফ সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে তাঁকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে, ত্রিকোণ প্রেমের জেরে প্রতিহিংসাবশত মশিয়ারের উপর হামলা চালিয়েছেন আরিফ। মশিয়ার রহমান বলেন, আরিফের সঙ্গে তিনি কাজ করতেন। উপ-প্রধানের ছেলেও বিবাহিত। কিছু দিন আগে আরিফ তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ফিরে এসেছেন। স্ত্রী এখন বাপের বাড়িতে আছেন। তারপরও তিনি কোনও প্রতিবাদ করেননি। তা সত্ত্বেও তাঁকে আচমকা গুলি করেন আরিফ। যদিও বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই শ্যুট-আউটের ঘটনা ঘটেছে।