সোমবার সকালের বিমানে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় এই কথা জানিয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। আর গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই উঠে আসে রিষড়া অশান্তির কথা।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রিষড়ায় হিংসার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হল বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, সোমবার সকালের বিমানে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার সময় এই কথা জানিয়ে গেলেন দিলীপ ঘোষ। আর গোটা ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল তাঁকে ফোন করেছিলেন বলে দাবি করেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেই উঠে আসে রিষড়া অশান্তির কথা। তখন তিনি রাজ্যপালের টেলিফোন নিয়ে বলেন, ‘রাজ্যপাল খোঁজখবর নিলেন। ঠিক আছি কিনা জানলেন। এক বিধায়কের চোট লেগেছে। তিনি ঠিক আছেন কিনা। কি হয়েছিল।’ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ তো বলছেন, আপনারা শকুনির রাজনীতি করছেন। এই কথা শুনে রেগে যান দিলীপ ঘোষ। আর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘উনি রামনবমীর কি জানেন? হারামের ধন খেয়ে রাম বলে আর কিছুর জ্ঞান নেই। যাদের সঙ্গে উনি আছেন, তারাও রামের ভক্ত নয়। সারা দেশে উৎসব চলে। সারা বছর মানুষ রামকে নিয়ে মেতে থাকে। ভারত রামের জায়গা। এখানে চলবে।’
নয়াদিল্লিতে গিয়ে কাউকে জানাবেন? এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দলের পক্ষ থেকে চিঠি গিয়েছে। আমি আলাদা করে কাউকে কিছু বলছি না। তবে কাশ্মীর শান্ত হলেও বাংলা কেন নয়? মনে হয়, সরকার ইচ্ছা করে করাচ্ছে। রিষড়ার ঘটনা ঘটল কী করে? পুলিশ কেন আগাম ব্যবস্থা নিল না? পুলিশের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’ এই এলাকায় এখন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রিষড়া এবং মাহেশ এলাকায় রবিবার রাত ১০টা থেকে সোমবার রাত ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখছে পুলিশ।