শিক্ষক নিয়োগ বিতর্কে কুণাল ঘোষের বক্তব্যকে মান্যতা দিলেন না পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন, এত বড় দফতরে কোথায় কী হচ্ছে, তা মন্ত্রীর পক্ষে জানা সম্ভব নয়। সেইসঙ্গে ফিরহাদ বলে দেন, কুণাল রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য নন। শনিবার 'টক টু মেয়র' অনুষ্ঠানের শেষে কলকাতা পুরনিগমের মেয়র জানান, তৃণমূলের কোনও নেতা বা মন্ত্রী অন্যায় করেন না। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকতে পারে। সেই ত্রুটি নিয়ে তদন্তের রাস্তা খোলা আছে। কিন্তু তৃণমূলের কোনও নেতা অন্যায় করেন না। সঙ্গে ফিরহাদ যোগ করেন, শিক্ষক নিয়োগে বেনিয়ম হলে তাতে যতটা দায় পার্থের, ততটাই দায় তাঁর নিজের। তাঁরা যৌথ পরিবারের সদস্য। কারও একার উপর দোষ চাপিয়ে হাত ঝেড়ে দেন না।তৃণমূল জমানায় একাধিক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগের মধ্যে শুক্রবার কুণাল দাবি করেন, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে, তার কোনওটাই নয়া শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যের আমলে হয়নি। বরং ব্রাত্য যতদিন শিক্ষামন্ত্রী আছেন, ততদিন ৯৯ শতাংশ কাজই ঠিকভাবে হয়। কখনও কোনও অভিযোগ উঠলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করে থাকেন। শিক্ষকদের যখন বিক্ষোভ চলছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী একটি কমিটি গঠন করে দেন। মুখ্যমন্ত্রী কোনওরকম খামতি রাখেন না। তারপরও যদি কিছু থাকে, সেটা সম্পূর্ণভাবে প্রশাসনিক বিষয়। তা ব্যক্তিগতভাবে তাঁর জানা নেই। সেটা তাঁর জানার কথাও নয়। কুণাল বলেন, 'এই ধরনের ঘটনা ব্রাত্য বসুর জমানায় হয়নি। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে পারবেন।' কুণালের সেই মন্তব্যের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, তাহলে কি তৃণমূলের অন্দরেই শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগের জেরে ‘সমস্যা’ তৈরি হয়েছে? যদিও সেই সমস্যার বিষয়টি উড়িয়ে দেন ফিরহাদ। তিনি দাবি করেন, তৃণমূলে আড়াআড়িভাবে ভাঙনের প্রশ্ন ওঠে না। কুণাল মন্ত্রিসভার সদস্য নন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের দায়িত্ব যৌথ। সঙ্গে তিনি মন্তব্যে, বিশাল বড় দফতরে কোথায় কী হচ্ছে, তা যাবতীয খবর রাখা কোনও মন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়।