রেশন দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর, এসএসকেএম-এ ভর্তি থাকাকালীন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালু কি সত্যিই নিজের হাতে তাঁর মেয়েকে কোনও চিঠি লিখেছিলেন? এই প্রশ্নের নিশ্চিত উত্তর পেতে আজই (সোমবার - ১৯ মে, ২০২৫) তাঁর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।
এদিন দুপুরে বিচার ভবনে পৌঁছন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জানা গিয়েছে, সেখানকার ১৯ নম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে হাজির করানো হয়েছে তাঁকে। রেশন দুর্নীতির তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ইডি আধিকারিকরাও সেখানে রয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, এদিন এজলাসেই প্রাক্তন মন্ত্রীর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে। এবং তা যাচাই করে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বালুকে কলকাতার এসএসকেএম-এ ভর্তি করা হয়। সেখানে থাকাকালীন তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে দেওয়ার জন্য একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি।
ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, সেই চিঠিতে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। একাধিক প্রভাবশালীর নাম ছিল। রেশন দুর্নীতিতেই ধৃত বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য ওরফে ডাকুর কথাও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। এমনকী, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা কোথায়, কীভাবে সরাতে হবে, তাও নাকি বলা ছিল চিঠিতে।
কিন্তু, এই চিঠি চালাচালির বিষয়টি বালুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ জওয়ানদের চোখে পড়ে যায়। বালু নিজের মেয়ের হাতে চিঠিটি দিলেও নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপে তা পৌঁছে যায় ইডি-র কাছে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে এলে প্রশ্ন ওঠে, তদন্তের আওতায় থাকা বালু হাসপাতালে চিঠি লেখার জন্য কাগজ, কলম পেলেন কোথা থেকে?
ইডি-র দাবি ছিল, প্রাথমিকভাবে তাঁদের কাছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওই চিঠি লেখার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। কিন্তু, পরে তিনি যদি অস্বীকার করেন, সেক্ষেত্রে ইডি-কে তার দাবি প্রমাণ করতে হবে। সেই কারণেই ওই চিঠির হাতের লেখার সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই এদিন তাঁর হাতের লেখার নমুনা সংগ্রহ করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।