বর্ষায় শহর বানভাসি হতে নড়ল টনক। শহর ও লাগোয়া এলাকার ৮টি খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা। শুক্রবার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে পুরসভার তরফে। তবে ভরা বর্ষায় খাল সংস্কার কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞ ও বিরোধীরা।শুক্রবারের বৈঠকে কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও হাজির থিলেন সেচ, পুর ও নগরোন্নয় দফতরের প্রধান সচিবরা। ছিলেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার। সেখানেই কলকাতা শহরের জলনিকাশি যে ৮টি খালের ওপর নির্ভরশীল তার সংস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সংস্কার হবে খালগুলি। সেজন্য দ্রুত অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়েছে।বর্ষার শুরুতেই নাগাড়ে বৃষ্টিতে গত কয়েকদিন ধরে বানভাসি শহর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। আর্মহার্স্ট স্ট্রিটের মতো নীচু জায়গা তো বটেই, বহু উঁচু পাড়াতেও জল উঠেছে। শহরের একাংশে বন্ধ যানচলাচল। লকডাউনের মধ্যে জমা জলে ভোগান্তির অন্ত নাই স্থানীয়দের। ক্ষোভের আঁচ পেয়ে ইতিমধ্যে নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। বিলম্বিত বোধদয় হতে এবার খাল সংস্কারের জন্য তৎপরতা শুরু করলেন তিনি।পুরসভার এই সিদ্ধান্তে বিরোধীদের প্রশ্ন, বছরের পর বছর ক্ষমতা দখল করে রেখে কেন বর্ষা এলেই খাল সংস্কারের কথা মনে পড়ে পুরসভার। কেন আগে থেকে এব্যাপারে তৎপরতা দেখা যায় না তাদের।নিকাশি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়ম অনুসারে শুখা সময়ে খাল সংস্কার করা দস্তুর। তার পর সেই পলি ফেলে আসতে হয় দূরে কোথাও। ভরা বর্ষায় খাল সংস্কার কতটা ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর সাত তাড়াতাড়ি কাজ সারতে খাল থেকে তোলা পলি পাড়েই রেখে দিলে কয়েকদিনেই তা ধুয়ে ফের খালেই পড়বে। ফলে সব টাকা যাবে জলে।